জানাযা-দাফনে এগিয়ে এলো না কেউ, সম্পন্ন করল পুলিশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
করোনা উপসর্গে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানা সদরের পশ্চিমপাড়ায় মারা যান আব্দুর রহিম। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণে মারা যান এই বৃদ্ধ। মারা যাওয়ার পর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে করোনা আতঙ্ক। তবে আতঙ্ক উপেক্ষা করেই মরদেহের পাশে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা।
স্থানীয় সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার সরদার জানান, গতকাল (সোমবার) থেকে তার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ও শুকনা কাশি দেখা দেয়। সেই সঙ্গে জ্বরও ছিল। শাকদাহ এলাকার স্থানীয় এক গ্রাম্য ডাক্তার হরিপদকে দেখায় তার পরিবার। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, মারা যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম তবে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেছি। বেলা ৪টার দিকে তার জানাযা ও দাফন হয়েছে তবে দাফনে করোনা আতঙ্কে এলাকার মানুষরা সাহায্য করেনি। পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের ওসি ও পুলিশ সদস্যরা দাফনের ব্যবস্থা করেন।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, বেলা ১১ টার দিকে সংবাদ পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে যায়। যেয়ে দেখা যায়, করোনা আতঙ্কে ওই পরিবারের পাশে কেউ নেই। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা নমুনা সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর দাফনের প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, তবে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি। পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানা পুলিশ সদস্যরা জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করেন।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজীব সরদার বলেন, মৃতের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ওই পরিবারটি লকডাউন করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে।
অন্যদিকে, সকালে জেলার আশাশুনি উপজেলার কাকবাশিয়া গ্রামের রেজাউল করিম নামের এক কলেজ শিক্ষকের করোনা উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা জানান, মৃত শিক্ষকের বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।