নড়াইলে আক্রান্ত ৫ জনই স্বাস্থ্য বিভাগের, লোহাগড়া লকডাউন
নড়াইলঃ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে নড়াইলের যে পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তারা সবাই লোহাগড়ার। আক্রান্ত পাঁচজনই লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। এদের মধ্যে তিনজন ডাক্তার, একজন নার্স ও একজন পোর্টার (স্বাস্থ্যকর্মী বিশেষ)।
ওই পাঁচজনকে নিজ নিজ বাড়িতে রেখে চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন নড়াইলের সিভিল সার্জন। তবে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শরীফ সাহাবুর রহমান বলছেন, আক্রান্তদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় গোটা লোহাগড়া উপজেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল মোমেন বলেন, বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ পাঁচ স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট এসেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে। এখন লোহাগড়ায় তাদের নিজ নিজ অবস্থানে (বাড়িতে) চিকিৎসা চলছে।
তিনি জানান, নড়াইল থেকে সংগৃহীত ৬৬টি নমুনার মধ্যে ৬৩টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয়টি পজেটিভ ও ৫৭টি নেগেটিভ। বাকি তিনটি নমুনার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন খুলনার ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে। বাদবাকিগুলো যশোরের ল্যাবে শনাক্ত করা হয়।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, সবশেষ আক্রান্ত হওয়া পাঁচজনের শারীরিক অবস্থা তুলনামূলক ভালো। অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যবিপ্রবিতে পরীক্ষা শুরুর পঞ্চম দিনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাত জেলার ৬৫টি নমুনার ফলাফল আজ বুধবার সকালে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়। এর মধ্যে নড়াইলের সর্বাধিক পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে; যাদের চারজনই চিকিৎসক।
পাঁচজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়ার পর লোহাগড়া উপজেলা লকডাউন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুলকুমার মৈত্র।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল লোহাগড়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পারছাত্রা এলাকার নওশের আলীর ছেলে সৈয়দ সুজন আলী (২৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে খুলনা মেডিকেলের টেস্টে ধরা পড়ে। তিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন আছেন। পরে সুজনের নমুনা রিপোর্ট দুইবার নেভেটিভ এসেছে। এখন সুজন সুস্থ।