করোনার মধ্যেও চলছে নিয়ম বহির্ভূত খাজনা আদায়
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজর ইজারাদারের বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হির্ভূত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রেতাদের থেকেও অধিক খাজনা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতা বিক্রেতাদের। ধানের খাজনা আদায় করা হচ্ছে তিনগুন।
ঝাউডাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে বেচা-কেনার উপর খাজনা আরোপ করে বাজারের নতুন ইজারাদার মাসুদুর রহমান। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বাজারে সকল ক্রেতা ও বিক্রেতা। পাইকারীর বিক্রেতারা পড়ছেন বিপাকে।
ঝাউডাঙ্গা বাজারে চাল ক্রেতা শহীদ গাজী বলেন, আমরা গরীব মানুষ। খোরাকির জন্য অল্প চাল কিনলেও টাকা দেওয়া লাগছে। বস্তা প্রতি পাঁচ টাকা দিতে হচ্ছে খাজনা।
তিনি বলেন, রড, সিমেন্ট, ডাল কিনলেও খাজনা দেওয়া লাগে। এই ইজারাদার নতুন নিয়ম করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের আয়-রোজগার বন্ধ। তাতে বাড়তি খাজনার টাকা নেওয়া এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে ঝাউডাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, ঝাউডাঙ্গা বাজারটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। প্রতিদিন কোটি টাকার উপর লেনদেন হয়। আমরা পূর্বে মুদি দোকান, রড সিমেন্টের দোকানে খাজনা দেইনি। অন্য ইজারদারও খাজনা তুলতেন না। এ বছর মাসুদুর রহমান ইজারা পেয়েই এ অনিয়ম শুরু করেছেন।
ঝাউডাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী গোলাম রহমান জানান, আমরা মুদি মাল ঢাকা, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানি করে পাইকারি বেচা কেনা করি। আগের ইজারাদার মুদি দোকান থেকে এক টাকাও খাজনা নেয়নি। নতুন ইজারাদার এখন আমাদের উপর অতিরিক্ত খাজনা নিচ্ছেন। না দিলে জোর প্রয়োগ করছে।
অতিরিক্ত খাজনা আদায় প্রসঙ্গে ঝাউডাঙ্গা বাজারের ইজারাদার মাসুদুর রহমান বলেন, গত ৭ বছর ধরে ধানের খাজনা চলে আসছে বস্তাপ্রতি ৪ টাকা। আমি কৃষকদের সুবিধার্থে খাজনা কমিয়ে তিনটাকা করেছি। মুদি বাজারে কোন খাজনা নেওয়া হচ্ছে না। যদি কেউ এই তথ্য দেয় ভুল দিয়েছ।
তিনি বলেন, এক গাড়ি ভুষি আসলে সরকারি হিসেবে খাজনা আসে ৮০০ টাকা। আমি ব্যবসায়িদের সুবিধার্থে খাজনা আদায় করেছি ২৫০ টাকা। তারা দুই দিন খাজনা দিয়েছে। তৃতীয় দিন যখন যাচ্ছি তখন তারা আমাকে খাজনা দিচ্ছেনা। মুদি বাজার খাজনার আওতায় না। মুদি বাজারের খাজনা আমি নিচ্ছিনা। যদি কেউ এরকম তথ্য দিয়ে থাকে তাহলে তা ভুল।
অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, এই বিষয়টি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। অচিরেই তদন্তপূর্বক ইজারাদারে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।