বাড়ি মালিকের দেওয়া আগুনে পুড়ে মরলো জুলেখা!
কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
জুলেখা খাতুন স্বামী-সংসার নিয়ে বেশ ভালই চলছিল দিনকাল। মহামারী করোনা তার জীবনে এ যেন অভিশাপ হয়ে আসলো। লকডাউন এর ফাঁদে বাসা ভাড়া না দিতে পেরে জীবন দিতে হলো তাকে।
গত (৩০ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুরে বাসা ভাড়া দিতে না পারায় গর্ভবতী জুলেখা খাতুন নামের এক নারীর গায়ে আগুন দেয় একই এলাকার বাড়িওয়ালা বজলুল হকের ছেলে রনি। এরপর তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। আজ শুক্রবার বেলা ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত গর্ভবতী নারী জুলেখার গর্ভে ফুটফুটে ৯মাসের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু মায়ের গর্ভে আবার ফিরে যেতে হলো তাকে। পৃথিবীর আলো আর দেখা হবে না তার। গর্ভে থাকা অনাগত সন্ত—ানকে নিয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন জুলেখা। নিহত জুলেখা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর এলাকার মেহেদী হাসানের স্ত্রী।
কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আজ বেলা ১২টার দিকে গর্ভবতী জুলেখা খাতুন নামে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এঘটনায় গত (৩০ এপ্রিল) ওই দিনই অভিযুক্ত বাড়িওয়ালার ছেলে রনিকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য,ঘটনার দিন বাসা ভাড়া দিতে না পারায় জুলেখার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় বাড়িওয়ালা বজলুল হকের ছেলে রনি। পরে জুলেখার চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। সেখান থেকে গতরাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ বেলা ১২টায় তার মৃত্যু হয়।