বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাগেরহাটে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়খক্ষতি যাতে কম হয় সেজন্য আগাম ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ জানান, এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো লোক গাদাগাদি করে রাখা যাবেনা। সবাইকে সামাজিক দূরত্ত বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। এব্যাপারে দ্রæত ব্যবস্থা নিতে জেলার সব উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সেজন্য ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোর পাশাপাশি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো আশ্রয় কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জেলায় মোট ৯৭৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার এ জেলার জন্য ২০০ মে: টন চাল, নগত ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ. গো খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, দূর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউটস, সিপিপির মোট ১১ হাজার ৭০৮ জন স্বেচ্ছাসেক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৫টি মেডিকেল টিম।
এদিকে জেলার সকল উপজেলায় সকাল থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মোংলা, শরনখোলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে।
মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে বন্দরে অবস্থানরত ১১টি জাহাজকে বন্দরের মূল চ্যানেল থেকে সরিয়ে নিরাপদে রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন জানান।
সুন্দবনের পূর্ব বনবিভাগের ডিএফও বেলায়েত হোসেন জানান সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের ১০টি স্টেশন ও টহল ফাড়ির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পার্শ্ববর্তী বন অফিসে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এইক সাথে সুন্দরবনে অবন্থানরন সকল কর্মচারীদের সর্তক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।