ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে এখনো স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর থেকে ঝিনাইদাহ জেলার ৮০ ভাগ এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা শহরের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার (২১ মে) সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও উপজেলা ও গ্রাম এলাকা  অন্ধকারে রয়েছে।

এতে বিপাকে পড়েছে মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছেন না মানুষ। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা খাবার।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দুইশ’ খুঁটি ভেঙে পড়েছে। পিডিবি’র ৩০টি পিলার ভেঙে পড়েছে। এছাড়া তার ছিঁড়ে সঞ্চালন লাইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রুহুল আমিন বলেন, ‘গত বুধবার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। আজ দুই দিন পার হলেও বিদ্যুৎ অফিসের কোনও লোকজন খোঁজ নিতে এলেন না। আর ক’দিন লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তা তো বলা যাচ্ছে না।’

শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ‘ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অনেক স্থানে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। লাইন স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসের লোক সংকট হলেও বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্থায়ী লোক নিয়োগ করে দ্রুত লাইন মেরামত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জি এম ইসাহাক আলি জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি, দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. এর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘ঝিনাইদহ শহর এবং কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। শৈলকুপা ও মহেশপুর শহরে চালু করা যায়নি, কাজ চলছে।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০
৮১৮ Time View

ঝিনাইদহে এখনো স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০

ঝিনাইদহঃ

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর থেকে ঝিনাইদাহ জেলার ৮০ ভাগ এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলা শহরের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার (২১ মে) সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও উপজেলা ও গ্রাম এলাকা  অন্ধকারে রয়েছে।

এতে বিপাকে পড়েছে মানুষ। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছেন না মানুষ। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে রাখা খাবার।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঝড়ের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দুইশ’ খুঁটি ভেঙে পড়েছে। পিডিবি’র ৩০টি পিলার ভেঙে পড়েছে। এছাড়া তার ছিঁড়ে সঞ্চালন লাইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রুহুল আমিন বলেন, ‘গত বুধবার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। আজ দুই দিন পার হলেও বিদ্যুৎ অফিসের কোনও লোকজন খোঁজ নিতে এলেন না। আর ক’দিন লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে তা তো বলা যাচ্ছে না।’

শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ‘ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অনেক স্থানে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। লাইন স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসের লোক সংকট হলেও বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্থায়ী লোক নিয়োগ করে দ্রুত লাইন মেরামত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জি এম ইসাহাক আলি জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি, দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. এর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘ঝিনাইদহ শহর এবং কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। শৈলকুপা ও মহেশপুর শহরে চালু করা যায়নি, কাজ চলছে।’