কালীগঞ্জে ঝড়ে উড়ে যাওয়া ঘর ঠিক করে দিল সেনাবাহিনী
ঝিনাইদহঃ
ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরের মধ্যেই ছিলেন তানজিরা-মবজেল দম্পতি। হঠাৎ রাত ১২ টার দিকে প্রচন্ড ঝড়ে টিনের চাল উড়ে গেল। উপায় না পেয়ে ঘরবাড়ি ফেলে প্রতিবেশীর বাড়িতে সবাই আশ্রয় নিলেন। এরপর টাকার অভাবে আর নিজ ঘর ঠিক করতে পারেননি। কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষাহাটি গ্রামের গৃহবধু তানজিরা বেগম।
গৃহবধু তানজিরা বেগম বলেন, আম্পান ঝড়ে আমাদের ঘরের টিন উড়ে যায়। ছোট এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যেই সবাই থাকি। তার স্বামী দিনমজুরের কাজ করে। টাকার অভাবে ঘর ঠিক করতে পারছিলেন না তারা। ঝড়ের পরের দিন ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অন্য একটি কাজ করতে আসেন। সেখানে তার স্বামী গিয়ে নিজেদের ঘরের কথা বলেন। এরপর রোববার তাদের ঘর নতুন টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করে দেয় আর্মিরা।
সরেজমিন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা গাড়ি থেকে নিজেরা নতুন টিন ও বাঁশ দিয়ে ঝড়ে উড়ে যাওয়া ঘরটি মেরামত করে দিচ্ছেন। কেউ টিন দিয়ে উপরের ছাউনি দিচ্ছেন। কেউ বাঁশ দিয়ে খুঁটি লাগাচ্ছেন।
ঘর তৈরিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ২নং ইস্ট বেঙ্গলের মেজর তাহসিন সালেহীন বলেন, দেশের যেকোন সংকটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ঝিনাইদহ জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৫০ জন গরীব মানুষের ঘর ইতিমধ্যে মেরামত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষাহাটি গ্রামের এই গরীব দিনমজুরের ঘরটি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে।