লঘুচাপের কারণে বাগেরহাটে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রবৃষ্টি
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যে ও পশ্চিমবঙ্গে লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পাশাপাশি হালকা বৃষ্টিপাত হলেও বুধবার (২৭ মে) সকাল থেকে দমকা হাওয়ার সাথে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষত মোছার আগেই এমন আবহাওয়ায় সংকিত উপকূলবাসি। কৃষি বিভাগ বলছে, বৃষ্টির ফলে পানি জমে গেলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হবে।
স্থানীয়রা জানান, বাগেরহাটের ৯টি উপজেলায় বুধবার সকাল থেকে দমকা হাওয়ার সাথে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল পানি জমে গেছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাগেরহাট সদর উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের আজাদ রশিদী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে রাস্তা ভেঙে তাদের গ্রামসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এরফলে ভেসে যায় পুকুর ও মাছের ঘেরে। এখনও পানি বন্দি রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। যার ফলে এই এলাকার মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দ দেখা যায়নি। গত এক সপ্তাহ পার হলেও রাস্তাটির ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করা হয়নি। সকাল থেকে বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধির খবরে নতুন করে সংঙ্কা তৈরি হয়েছে এলাকাবাসির মধ্যে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়া শরণখোলা উপজেলার বগী গ্রামের মনির হোসেন বলেন, আবহাওয়া খারাপ দেখলেই উপকূলের মানুষের মাঝে ভীতি কাজ করে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বেরিবাঁধ ভেঙে পানি বন্দি অবস্থা কাটার আগেই নতুন করে পানি বৃদ্ধির খবরে একাকার মানুষ ভয় পাচ্ছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, সকাল থেকেই ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে পানি জমে গেলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হবে।