ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনের করমজলে ৫২ডিম পেড়েছে কুমির জুলিয়েট

Reporter Name

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

সুন্দরবনের করমজলের বণ্যপ্রজনন কেন্দ্রে মা কুমির জুলিয়েট ৫২ টি ডিম পেড়েছে। শুক্রবার (২৯ মে) সকালে প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে কুমির জুলিয়েট এই ডিম পাড়ে । এনিয়ে জুলিয়েট ডিম পেড়েছে মোট ১৫ বার। করমজল বণ্যপ্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জুলিয়েটের পাড়া ৫২ টি ডিমের মধ্যে ১৪ টি ডিম বাচ্চা ফুটানোর জন্য জুলিয়েটের বাসায় রাখা হয়েছে। আর বাকি ২৬ ডিম পুরাতন ইনকিউবেটরে (বাচ্চা ফুটানোর কৃত্রিম পদ্ধতি) এবং ১২টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হয়।

আজাদ কবির আরও বলেন, করমজলের বণ্যপ্রজনন কেন্দ্রে ছোট বড় মিলিয়ে ১৯৫ টি কুমির রয়েছে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও পিলপিল নামে দুটি মা কুমির এবং রোমিও নামে পুরুষ কুমির দিয়ে করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্রে বাচ্চা ফুটানোর প্রজনন কার্যক্রম চালু করা হয়।

বিলুপ্তপ্রায় নোনা পানির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও তা সংরক্ষণের জন্য ২০০২ সালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র সরকারি এ কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি।

বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি। শুরুতেই জেলেদের জালে ধরা পড়া কুমির দিয়ে কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে জুলিয়েট ও পিলপিল নামের দুটি নোনা পানির কুমিরসহ বিভিন্ন বয়সী ১৯৫টি কুমির রয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
৫৩১ Time View

সুন্দরবনের করমজলে ৫২ডিম পেড়েছে কুমির জুলিয়েট

আপডেট সময় : ০৪:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

সুন্দরবনের করমজলের বণ্যপ্রজনন কেন্দ্রে মা কুমির জুলিয়েট ৫২ টি ডিম পেড়েছে। শুক্রবার (২৯ মে) সকালে প্রজনন কেন্দ্রের পুকুর পাড়ে কুমির জুলিয়েট এই ডিম পাড়ে । এনিয়ে জুলিয়েট ডিম পেড়েছে মোট ১৫ বার। করমজল বণ্যপ্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজাদ কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জুলিয়েটের পাড়া ৫২ টি ডিমের মধ্যে ১৪ টি ডিম বাচ্চা ফুটানোর জন্য জুলিয়েটের বাসায় রাখা হয়েছে। আর বাকি ২৬ ডিম পুরাতন ইনকিউবেটরে (বাচ্চা ফুটানোর কৃত্রিম পদ্ধতি) এবং ১২টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হয়।

আজাদ কবির আরও বলেন, করমজলের বণ্যপ্রজনন কেন্দ্রে ছোট বড় মিলিয়ে ১৯৫ টি কুমির রয়েছে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও পিলপিল নামে দুটি মা কুমির এবং রোমিও নামে পুরুষ কুমির দিয়ে করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্রে বাচ্চা ফুটানোর প্রজনন কার্যক্রম চালু করা হয়।

বিলুপ্তপ্রায় নোনা পানির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও তা সংরক্ষণের জন্য ২০০২ সালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র সরকারি এ কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি।

বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি। শুরুতেই জেলেদের জালে ধরা পড়া কুমির দিয়ে কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে জুলিয়েট ও পিলপিল নামের দুটি নোনা পানির কুমিরসহ বিভিন্ন বয়সী ১৯৫টি কুমির রয়েছে।