আওয়ামী লীগে সৈয়দ আশরাফ বিএনপিতে হাফ ডজন প্রার্থী
সবুজদেশ ডেক্সঃ কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনটি জেলার রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে খ্যাত। এখান থেকেই মূলত জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়। ফলে এ আসনটির প্রতি সব দলেরই বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।
১৯৯৬ সন থেকে এ আসনটি ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি এ আসন থেকে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আগে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতেন। সৈয়দ আশরাফ লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসনটিকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে রূপান্তরিত করেন। সৎ, নম্র, ভদ্র, স্পষ্টবাদী ও উচ্চভাবমূর্তির একজন রাজনীতিক হিসেবে এলাকায় তার খ্যাতি রয়েছে। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে হিসেবে রয়েছে তার পারিবারিক ঐতিহ্য ও সুনাম। বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সৈয়দ আশরাফের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। আগামী নির্বাচনেও তাকেই দলের জন্য নির্ভার মনে করছে আওয়ামী লীগ। তিনিই এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজল। এ আসনে তার কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি মনে করেন। তবে বেশ কয়েক মাস ধরে এ আসনের বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেঝো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন। নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা না দিলেও তৃণমূল আওয়ামী লীগের ব্যানারে সভা-সমাবেশ করছেন তিনি। এ আসনে বিএনপির হাফ ডজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ রাব্বানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া। ওয়ালিউল্লাহ রাব্বানীর তৃণমূলে শক্ত অবস্থান আছে বলে অনেকে মনে করেন। শোলাকিয়া ঈদগাহের টানা ৩০ বছরের ইমাম মুফতি এ কে এম নূরুল্লাহর ছেলে হিসেবে তার বিশেষ পরিচিতি আছে। মাসুদ হিলালী এ আসনে বিএনপি থেকে তিনবার নির্বাচন করেও জয়লাভ করতে পারেননি। এ আসনটি উদ্ধারের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ আসনে প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সৎ এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী দিতে পারলে আসনটি উদ্ধার করা সম্ভব। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফউদ্দিন রেণু ও সহ-সভাপতি মোস্তফা খান পাঠান। কমিউনিস্ট পার্টি থেকে এনামুল হক নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।