ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেশি দিন টিকবে না জগাখিচুড়ির ঐক্য : ওবায়দুল কাদের

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ কারও নাম উল্লেখ না করে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যের’ কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘এই ঐক্য জগাখিচুড়ির ঐক্য। এটি বেশি দিন টিকবে না।’

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজারের কলাতলীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গত শনিবার ঢাকা থেকে সড়কপথে কক্সবাজার পর্যন্ত সাংগঠনিক সফর শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। তাঁর সঙ্গী হয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। পথে বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত সভায় বক্তব্য দিয়েছেন কাদের ও তাঁর সঙ্গে থাকা নেতারা। বিভিন্ন জায়গায় তিনি আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদেরও পরিচয় করে দেন। কাদের দাউদকান্দি, কুমিল্লা শহর, ফেনীর বিভিন্ন সভায় বক্তব্য দেন। শনিবার চট্টগ্রামে রাত কাটায় আওয়ামী লীগের এই দল। গতকাল রোববার আবার সফর শুরু হয়। প্রথমে কর্ণফুলীতে বক্তব্য দেন কাদের। এরপর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া ও রামুতে পথসভা করেন। এসব সভায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা যেমন দেন, তেমনি বিরোধী দল বিএনপি ও নবগঠিত জাতীয় ঐক্যের সমালোচনা করেন।

শনিবার ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত সভায় অংশ নেন ড. কামাল হোসেন, বিকল্পধারার নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ কয়েক নেতা। সেখানে এই নেতারা বলেন, তাঁদের ‘জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়া’ এই সমাবেশের মাধ্যমে আরও এগিয়ে গেল। অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের কয়েকটি ছোট দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে জোটের অন্যতম প্রধান দল জামায়াতের কোনো নেতা অংশ নেননি।

শনিবারই কক্সবাজারমুখী সাংগঠনিক সফরে থাকা কাদের এই ঐক্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না। ওই দিন বিকেলে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের শহীদ মিনার চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষার হিসাব দিয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক সমীক্ষা বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৬৬ ভাগ, আর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ৬৪ ভাগ। আওয়ামী লীগের মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে দেশে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না। তারা (ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট) যে ঐক্য করতে চায়, সেই ঐক্য হবে জাতীয়তাবাদী ও সাম্প্রদায়িক ঐক্য। এই ঐক্য দেশের মানুষ মেনে নেবে না।

আর আজ আবার ‘জাতীয় ঐক্যের’ সমালোচনা করলেন কাদের। ঐক্য প্রক্রিয়ার সমালোচনার পাশাপাশি কাদের বিএনপিরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘রেল ও সড়কপথে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফরে বিপুল সাড়া দেখে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে।’

শনিবার সড়কপথে যাত্রার আগে ৮ সেপ্টেম্বর রেলপথে প্রথম সাংগঠনিক সফর করে আওয়ামী লীগ। নীলসাগর ট্রেনে করে নীলফামারীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার অন্তর্ভুক্ত রেলস্টেশনগুলোয় পথসভা করেন ওবায়দুল কাদের। ওই সময়ও তাঁর সঙ্গে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ট্রেন থামিয়ে পথসভা করার কারণে ওই দিন ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছায়।

আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাদের দাবি করেন, এসব সাংগঠনিক সফরে তিনি বিপুল সাড়া পেয়েছেন। কাদের বলেন, ‘জনগণের বিপুল জোয়ারের কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক। তাঁর সততা ও নেতৃত্বই মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে।

কক্সবাজারের উন্নয়ন নিয়েও কাদের বলেন, দ্রুত রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে। আর শহরের সড়ক ও সৈকতে উন্নত মানের বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হবে।

কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি উপস্থিত ছিলেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০১:৫১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৯৬১ Time View

বেশি দিন টিকবে না জগাখিচুড়ির ঐক্য : ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় : ০১:৫১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ কারও নাম উল্লেখ না করে গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যের’ কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘এই ঐক্য জগাখিচুড়ির ঐক্য। এটি বেশি দিন টিকবে না।’

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজারের কলাতলীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

গত শনিবার ঢাকা থেকে সড়কপথে কক্সবাজার পর্যন্ত সাংগঠনিক সফর শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। তাঁর সঙ্গী হয়েছেন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। পথে বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত সভায় বক্তব্য দিয়েছেন কাদের ও তাঁর সঙ্গে থাকা নেতারা। বিভিন্ন জায়গায় তিনি আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদেরও পরিচয় করে দেন। কাদের দাউদকান্দি, কুমিল্লা শহর, ফেনীর বিভিন্ন সভায় বক্তব্য দেন। শনিবার চট্টগ্রামে রাত কাটায় আওয়ামী লীগের এই দল। গতকাল রোববার আবার সফর শুরু হয়। প্রথমে কর্ণফুলীতে বক্তব্য দেন কাদের। এরপর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া ও রামুতে পথসভা করেন। এসব সভায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বর্ণনা যেমন দেন, তেমনি বিরোধী দল বিএনপি ও নবগঠিত জাতীয় ঐক্যের সমালোচনা করেন।

শনিবার ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত সভায় অংশ নেন ড. কামাল হোসেন, বিকল্পধারার নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ কয়েক নেতা। সেখানে এই নেতারা বলেন, তাঁদের ‘জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়া’ এই সমাবেশের মাধ্যমে আরও এগিয়ে গেল। অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের কয়েকটি ছোট দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে জোটের অন্যতম প্রধান দল জামায়াতের কোনো নেতা অংশ নেননি।

শনিবারই কক্সবাজারমুখী সাংগঠনিক সফরে থাকা কাদের এই ঐক্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না। ওই দিন বিকেলে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের শহীদ মিনার চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষার হিসাব দিয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক সমীক্ষা বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৬৬ ভাগ, আর আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ৬৪ ভাগ। আওয়ামী লীগের মতো জনপ্রিয় দলকে বাদ দিয়ে দেশে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না। তারা (ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট) যে ঐক্য করতে চায়, সেই ঐক্য হবে জাতীয়তাবাদী ও সাম্প্রদায়িক ঐক্য। এই ঐক্য দেশের মানুষ মেনে নেবে না।

আর আজ আবার ‘জাতীয় ঐক্যের’ সমালোচনা করলেন কাদের। ঐক্য প্রক্রিয়ার সমালোচনার পাশাপাশি কাদের বিএনপিরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘রেল ও সড়কপথে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফরে বিপুল সাড়া দেখে বিএনপি হতাশ হয়ে গেছে।’

শনিবার সড়কপথে যাত্রার আগে ৮ সেপ্টেম্বর রেলপথে প্রথম সাংগঠনিক সফর করে আওয়ামী লীগ। নীলসাগর ট্রেনে করে নীলফামারীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার অন্তর্ভুক্ত রেলস্টেশনগুলোয় পথসভা করেন ওবায়দুল কাদের। ওই সময়ও তাঁর সঙ্গে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ট্রেন থামিয়ে পথসভা করার কারণে ওই দিন ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছায়।

আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাদের দাবি করেন, এসব সাংগঠনিক সফরে তিনি বিপুল সাড়া পেয়েছেন। কাদের বলেন, ‘জনগণের বিপুল জোয়ারের কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক। তাঁর সততা ও নেতৃত্বই মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়েছে।

কক্সবাজারের উন্নয়ন নিয়েও কাদের বলেন, দ্রুত রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে। আর শহরের সড়ক ও সৈকতে উন্নত মানের বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হবে।

কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি উপস্থিত ছিলেন।