ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা হলেন দিয়া
ঢাকাঃ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন সাবহানাজ রশিদ দিয়া। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে ফেসবুকের আঞ্চলিক সদরদফতর সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ডিজিটাল বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা সাবহানাজ রশিদ দিয়া।
কনটেন্ট বিষয়ে বিদ্যমান যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানসহ বাংলাদেশের অংশ দেখাশোনার জন্য বাংলাদেশি ও বাংলাভাষী সাবহানাজ রশিদকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। মন্ত্রী এই পদক্ষেপকে একটি ফলপ্রসূ উদ্যোগ বলে ফেসবুককে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে ফেসবুককে বাংলাদেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ছাড়াও দেশ ও দেশের বাহির থেকে গুজব বা অপপ্রচার প্রচার ছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পর্নোগ্রাফি ও বাংলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধবিরোধী উপাত্ত প্রচার না করতে ফেসবুককে আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সব প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান মেনে চলা ফেসবুকের দায়িত্ব।’
ফেসবুককে রিসেলার নিয়োগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে কর দিতে প্রতিনিধি নিয়োগ এবং বাংলা ভাষার সঠিক অনুবাদেরও বিষয়েও তাগিদ দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ আমাদের নাগরিকদের ফেসবুকের নিরাপদ ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশে আইন আছে, সেই আইন মোতাবেক ফেসবুককে কনটেন্ট এবং অন্য বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখার বিষয়ে মন্ত্রীকে আশ্বাস দেন। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’, কর ও ভ্যাটবিষয়ক আইন মেনে চলার আশ্বাসও দেন।
বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফা কামাল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (ট্যাক্স পলিসি) আলমগীর হোসেন, ফার্স্ট সেক্রেটারি কাজী ফরিদ উদ্দিন এবং বিটিআরসির সিনিয়ির সহকারী পরিচালক তৌসিফ শাহরিয়ার ও আমজাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ঊধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া বৈঠকে ফেসবুকের হেড অব সেফটি বিক্রম সেনগ, ফেসবুক পাবলিক পলিসিবিষয়ক পরিচালক অশ্বিনী রানা, ফেসবুকের নবনিযুক্ত বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা সাবনাজ রশিদ দিয়া এবং ফেসবুক মোবাইল পার্টনার বিভাগের ইরাম ইকবাল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।