ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুখোমুখি মেসি-রোনালদো আড়াই বছর পর

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

২০১৮ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যখন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেন, তখন থেকেই লিওনেল মেসির সঙ্গে তার মুখোমুখি দ্বৈরথ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা কিংবা জাতীয় দলের লড়াই ছাড়া তাদের লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভব। তবে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র খুলে দিয়েছে নতুন দুয়ার। আড়াই বছর পর আজ মঙ্গলবার রাতেই ফের মুখোমুখি হচ্ছেন সময়ের সেরা দুই তারকা ফুটবলার।

সুযোগটা ছিল গত অক্টোবরেই। প্রথম লেগের ম্যাচে বার্সেলোনাকে নিয়ে তুরিনে গিয়েছিলেন মেসি। গোলও করেন। কিন্তু সে ম্যাচে থাকতে পারেননি রোনালদো। তখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন এ পর্তুগিজ তারকা। আর দলের সেরা তারকাকে ছাড়া জুভেন্টাসও জ্বলে উঠতে পারেনি। তাই মঙ্গলবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে প্রতিশোধ নেওয়ার সমীকরণটাও থাকবে দলটির সামনে। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায়। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনা দুই কিংবদন্তির ধ্রুপদী লড়াই নিয়েই।

শেষবার ২০১৮ সালের ৬ মে লা লিগার এল ক্লাসিকোতে ন্যু ক্যাম্পে লড়েছিলেন মেসি ও রোনালদো। সে ম্যাচে অবশ্য কেউ জিততে পারেননি। ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে তারা দুজনেই একটি করে গোল করেছিলেন। এরপর ইতালিতে পা রাখেন রোনালদো। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে শেষবার তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন ২০১১ সালের ৩ মে। সে লড়াইটিও ১-১ গোলে ড্র হয়। সেদিন গোল দিতে পারেননি এ দুই তারকার কেউ।

সবমিলিয়ে মেসি ও রোনালদো মুখোমুখি হয়েছেন মোট ৩৫ বার। এর মধ্যে মেসি জিতেছেন ১৬ ম্যাচে, আর রোনালদোর জয় ১০ ম্যাচে। নিজেদের এ লড়াইয়ে মেসি গোল দিয়েছেন ২২টি, রোনালদোর গোল ১৯টি। তবে চলতি মৌসুমে আগের মতো গোল দিতে দেখা যাচ্ছে না মেসিকে। তার চেয়ে নিচের দিকে নেমে গোল তৈরি করে দেওয়াতেই আগ্রহী তিনি। চলতি মৌসুমে ১৩ ম্যাচ খেলে তার গোলসংখ্যা ৭টি। অন্যদিকে, ৩৫ বছর বয়সী রোনালদো ৯ ম্যাচেই করেছেন ১০ গোল।

ঘরের মাঠে খেললেও এ ম্যাচে কিছুটা ব্যাকফুটেই থাকবে বার্সেলোনা। জেরার্ড পিকে, আনসু ফাতি, সার্জি রবার্তোর মতো তারকারা মাঠের বাইরে। ইনজুরির তালিকায় যোগ দিয়েছেন উসমান দেম্বেলেও। অন্যদিকে জিয়র্জিও কিয়েলিনি ছাড়া ইনজুরি কিংবা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বড় কোনো ঝামেলায় নেই জুভেন্টাস।

আগেই দুই দল নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে। তাই এ ম্যাচে লড়াইটা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তুরিনে প্রথম লেগের ২-০ ব্যবধানের জয়ে সমীকরণে বেশ এগিয়ে আছে বার্সেলোনা। তবে ইনজুরিতে জর্জরিত বার্সাকে তাদের মাঠে হারিয়ে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম রোনালদোর জুভেন্টাস।

সবমিলিয়ে ফুটবল ভক্তদের জন্য রাতটি বিশেষই হতে যাচ্ছে বলা চলে। তা না হলে বার্সা কোচ রোনাল্ড কোমানও বলেন এমন কথা, ‘মেসি-রোনালদোর মতো দুই গ্রেট চ্যাম্পিয়নকে কাল (আজ) দেখতে পারাটা হবে দুর্দান্ত। ওরা গত ১৫ বছর ধরে বিশ্বসেরা। দুজনে ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়, কিন্তু গোলের জন্য, শিরোপার জন্য ওদের লড়াইটা একই। আমি দুজনেরই প্রশংসা করি, কারণ তারা অবিশ্বাস্য। কে সেরা প্রশ্ন সেটা না। আমরা দুজনের খেলাই উপভোগ করব।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:২৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
১৯২ Time View

মুখোমুখি মেসি-রোনালদো আড়াই বছর পর

আপডেট সময় : ০৮:২৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

সবুজদেশ ডেস্কঃ

২০১৮ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যখন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেন, তখন থেকেই লিওনেল মেসির সঙ্গে তার মুখোমুখি দ্বৈরথ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা কিংবা জাতীয় দলের লড়াই ছাড়া তাদের লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভব। তবে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র খুলে দিয়েছে নতুন দুয়ার। আড়াই বছর পর আজ মঙ্গলবার রাতেই ফের মুখোমুখি হচ্ছেন সময়ের সেরা দুই তারকা ফুটবলার।

সুযোগটা ছিল গত অক্টোবরেই। প্রথম লেগের ম্যাচে বার্সেলোনাকে নিয়ে তুরিনে গিয়েছিলেন মেসি। গোলও করেন। কিন্তু সে ম্যাচে থাকতে পারেননি রোনালদো। তখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন এ পর্তুগিজ তারকা। আর দলের সেরা তারকাকে ছাড়া জুভেন্টাসও জ্বলে উঠতে পারেনি। তাই মঙ্গলবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে প্রতিশোধ নেওয়ার সমীকরণটাও থাকবে দলটির সামনে। ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায়। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনা দুই কিংবদন্তির ধ্রুপদী লড়াই নিয়েই।

শেষবার ২০১৮ সালের ৬ মে লা লিগার এল ক্লাসিকোতে ন্যু ক্যাম্পে লড়েছিলেন মেসি ও রোনালদো। সে ম্যাচে অবশ্য কেউ জিততে পারেননি। ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে তারা দুজনেই একটি করে গোল করেছিলেন। এরপর ইতালিতে পা রাখেন রোনালদো। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে শেষবার তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন ২০১১ সালের ৩ মে। সে লড়াইটিও ১-১ গোলে ড্র হয়। সেদিন গোল দিতে পারেননি এ দুই তারকার কেউ।

সবমিলিয়ে মেসি ও রোনালদো মুখোমুখি হয়েছেন মোট ৩৫ বার। এর মধ্যে মেসি জিতেছেন ১৬ ম্যাচে, আর রোনালদোর জয় ১০ ম্যাচে। নিজেদের এ লড়াইয়ে মেসি গোল দিয়েছেন ২২টি, রোনালদোর গোল ১৯টি। তবে চলতি মৌসুমে আগের মতো গোল দিতে দেখা যাচ্ছে না মেসিকে। তার চেয়ে নিচের দিকে নেমে গোল তৈরি করে দেওয়াতেই আগ্রহী তিনি। চলতি মৌসুমে ১৩ ম্যাচ খেলে তার গোলসংখ্যা ৭টি। অন্যদিকে, ৩৫ বছর বয়সী রোনালদো ৯ ম্যাচেই করেছেন ১০ গোল।

ঘরের মাঠে খেললেও এ ম্যাচে কিছুটা ব্যাকফুটেই থাকবে বার্সেলোনা। জেরার্ড পিকে, আনসু ফাতি, সার্জি রবার্তোর মতো তারকারা মাঠের বাইরে। ইনজুরির তালিকায় যোগ দিয়েছেন উসমান দেম্বেলেও। অন্যদিকে জিয়র্জিও কিয়েলিনি ছাড়া ইনজুরি কিংবা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বড় কোনো ঝামেলায় নেই জুভেন্টাস।

আগেই দুই দল নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে। তাই এ ম্যাচে লড়াইটা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। তুরিনে প্রথম লেগের ২-০ ব্যবধানের জয়ে সমীকরণে বেশ এগিয়ে আছে বার্সেলোনা। তবে ইনজুরিতে জর্জরিত বার্সাকে তাদের মাঠে হারিয়ে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম রোনালদোর জুভেন্টাস।

সবমিলিয়ে ফুটবল ভক্তদের জন্য রাতটি বিশেষই হতে যাচ্ছে বলা চলে। তা না হলে বার্সা কোচ রোনাল্ড কোমানও বলেন এমন কথা, ‘মেসি-রোনালদোর মতো দুই গ্রেট চ্যাম্পিয়নকে কাল (আজ) দেখতে পারাটা হবে দুর্দান্ত। ওরা গত ১৫ বছর ধরে বিশ্বসেরা। দুজনে ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়, কিন্তু গোলের জন্য, শিরোপার জন্য ওদের লড়াইটা একই। আমি দুজনেরই প্রশংসা করি, কারণ তারা অবিশ্বাস্য। কে সেরা প্রশ্ন সেটা না। আমরা দুজনের খেলাই উপভোগ করব।’