ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে: অর্থমন্ত্রী

Reporter Name

ফাইল ছবি

সবুজদেশ ডেস্কঃ

গত ছয় মাসে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কালো টাকা সাদা হয়েছে। অফিশিয়ালি এ টাকাগুলো মূলধারায় যুক্ত হওয়ায় অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এই তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) সিঙ্গাপুরে অবস্থানকারী অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা পলিসিগত কারণে কালো হয়। অনেকেই ট্যাক্স দেয়, আবার অনেকেই দেয় না। ট্যাক্স রেট বেশি ছিল। আস্তে আস্তে এগুলো কমিয়ে আনতে হবে। সুদের হার অনেক বেশি ছিল। এত বেশি সুদ হারে কোনও দেশে শিল্পায়ন হয় না। শিল্পায়ন না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। এখন ৬ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছে যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশে টাকা রাখলে উল্টো টাকা দিতে হবে। সেখানে লাভ পায় না, যদিও পায় সেটা এক থেকে দেড় শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশে ৬ শতাংশ পাচ্ছে। এটা হলো আমাদের ইতিবাচক দিক।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কালো টাকা সাদা করতে চাই বলে সাদা হলো। বাজেট বক্তৃতায় বলা আছে, আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অ্যাড্রেস করতে চাই। প্রথমেই আমাদের রেমিট্যান্সে প্রণোদনা চালু করেছি। আরও একটা ক্ষেত্র রয়েছে যেটা প্রতিটা দেশের জন্য বড় এলাকা। সেটা হলো আবাসন খাত। এই আবাসন খাতে স্ট্যাম্প ফি ও ডিউটি বাড়তি থাকার কারণে কোনও রেজিস্ট্রেশন হয় না। ফলে সরকার কোনও রাজস্ব পাচ্ছে না।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একজনের বাড়ি বিক্রি হচ্ছে, অথচ দেখানো হচ্ছে না। বিক্রি যেখানে ১০টা সেটা দেখাচ্ছে এক টাকা। ১০টাকার ওপরে গেলে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়, সেজন্য স্ট্যাম্প ডিউটি কমিয়ে দিয়েছি। এরকম যেসব জায়গায় হাত দেওয়া দরকার সেখানে করেছি। সেগুলো করার কারণেই এখন কালো টাকা সাদা হচ্ছে। যেমন আমাদের পুঁজিবাজার। এটা সব দেশেই করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রেমিট্যান্স খাতে গত এক বছরে বা ছয় মাসে অর্জন হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পুরো বছরে আমাদের ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি আসবে। এই টাকাগুলো পুঁজিবাজারে যাবে। অফিশিয়ালি এ টাকাগুলো আসাতে আমাদের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। পুরোপুরি না হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সফল হয়েছি। আমরা চাই কালো টাকা সাদা হোক। টাকা কালো হওয়ার কারণ নিয়ে অনেকবার ব্যাখ্যা দিয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) আছে। কিন্তু আমরা ট্যাক্স পাচ্ছি না। টিআইএন নম্বর দিয়ে কী হবে, যদি ট্যাক্স না পাই? সে কাজটি করার জন্য আমরা ফুল অটোমেশনে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত অটোমেশন শেষ করতে না পারি ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ সমস্যা থাকবে।’

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১
৩৩৪ Time View

কালো টাকা সাদা হওয়ায় অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে: অর্থমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

গত ছয় মাসে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কালো টাকা সাদা হয়েছে। অফিশিয়ালি এ টাকাগুলো মূলধারায় যুক্ত হওয়ায় অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এই তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) সিঙ্গাপুরে অবস্থানকারী অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা পলিসিগত কারণে কালো হয়। অনেকেই ট্যাক্স দেয়, আবার অনেকেই দেয় না। ট্যাক্স রেট বেশি ছিল। আস্তে আস্তে এগুলো কমিয়ে আনতে হবে। সুদের হার অনেক বেশি ছিল। এত বেশি সুদ হারে কোনও দেশে শিল্পায়ন হয় না। শিল্পায়ন না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। এখন ৬ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছে যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশে টাকা রাখলে উল্টো টাকা দিতে হবে। সেখানে লাভ পায় না, যদিও পায় সেটা এক থেকে দেড় শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশে ৬ শতাংশ পাচ্ছে। এটা হলো আমাদের ইতিবাচক দিক।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কালো টাকা সাদা করতে চাই বলে সাদা হলো। বাজেট বক্তৃতায় বলা আছে, আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো অ্যাড্রেস করতে চাই। প্রথমেই আমাদের রেমিট্যান্সে প্রণোদনা চালু করেছি। আরও একটা ক্ষেত্র রয়েছে যেটা প্রতিটা দেশের জন্য বড় এলাকা। সেটা হলো আবাসন খাত। এই আবাসন খাতে স্ট্যাম্প ফি ও ডিউটি বাড়তি থাকার কারণে কোনও রেজিস্ট্রেশন হয় না। ফলে সরকার কোনও রাজস্ব পাচ্ছে না।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একজনের বাড়ি বিক্রি হচ্ছে, অথচ দেখানো হচ্ছে না। বিক্রি যেখানে ১০টা সেটা দেখাচ্ছে এক টাকা। ১০টাকার ওপরে গেলে স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে হয়, সেজন্য স্ট্যাম্প ডিউটি কমিয়ে দিয়েছি। এরকম যেসব জায়গায় হাত দেওয়া দরকার সেখানে করেছি। সেগুলো করার কারণেই এখন কালো টাকা সাদা হচ্ছে। যেমন আমাদের পুঁজিবাজার। এটা সব দেশেই করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রেমিট্যান্স খাতে গত এক বছরে বা ছয় মাসে অর্জন হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। পুরো বছরে আমাদের ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি আসবে। এই টাকাগুলো পুঁজিবাজারে যাবে। অফিশিয়ালি এ টাকাগুলো আসাতে আমাদের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। পুরোপুরি না হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সফল হয়েছি। আমরা চাই কালো টাকা সাদা হোক। টাকা কালো হওয়ার কারণ নিয়ে অনেকবার ব্যাখ্যা দিয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) আছে। কিন্তু আমরা ট্যাক্স পাচ্ছি না। টিআইএন নম্বর দিয়ে কী হবে, যদি ট্যাক্স না পাই? সে কাজটি করার জন্য আমরা ফুল অটোমেশনে যাচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত অটোমেশন শেষ করতে না পারি ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ সমস্যা থাকবে।’