ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ২১৮

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় দিনটিও নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। তার অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ২৫৯ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আগের দিনে ব্যাট হাতে ১০৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলা মিরাজ শুক্রবার ৫৮ রান খরচায় শিকার করেন ক্যারিবীয় ৪ উইকেট। তবে মেহেদী রাঙা দিনে ব্যর্থ টাইগার ব্যাটসম্যানরা। 

প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করা টাইগাররা মাত্র ১ রান তুলতেই হারায় ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৩৩ রান জমা হতেই নেই তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম অনিকের উইকেট। 

প্রথম ইনিংসে ৯ রানে ক্যারিবীয় তারকা পেসার কেমার রোচের গতির শিকার হয়ে বোল্ড হওয়া তামিম ইকবাল শুক্রবার দ্বিতীয় ইনিংসে রাহকিম কর্নওয়ালের ঘূর্ণিবলে বিভ্রান্ত হয়ে শূন্যরানে ফেরেন।

দলীয় এক রানে তামিম ইকবালের পর সাজঘরে ফেরেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ২৫ রানে রানআউট হওয়া শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন শূন্যরানে। তিনিও তামিম ইকবালের মতো রাহকিম কর্নওয়ালের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হন। 

১ রানে দুই উইকেট পতনের পর হাল ধরতে পারেননি অন্য ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। প্রথম ইনিংসে ৫৯ রান করা এই তরুণ ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন মাত্র ৫ রানে।  

৩৩ রানে তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম অনিকের বিদায়ের পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৭ রান। ৩১ ও ১০ রানে অপরাজিত মুমিনুল-মুশফিক। বাংলাদেশ দলের লিড ২১৮ রান।

এর আগে বাংলাদেশ দলের করা ৪৩০ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বৃহস্পতিবার ২ উইকেটে ৭৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুক্রবার তৃতীয় দিনে ব্যাটিয়ে নেমে শুরুতেই এনকেরুমা বোর্নকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। আগের দিনে ১৭ রান করা ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান এদিন আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি। 

ইনিংসের শুরু থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাওয়া ক্যারিবীয় ওপেনার ক্রেগ ব্রাথওয়েটকে দলীয় ১৩০ রানে বোল্ড করেন নাইম হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে উইন্ডিজের এই অধিনায়ক করেন ৭৬ রান। এরপর ২৪ রানের ব্যবধানে কাইল মায়ার্সকে (৪০) ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। 

ষষ্ঠ উইকেটে জশুয়া ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়েন জার্মেইন ব্লাকউড। তাদের এ জুটিতেই ফলোঅন এড়ায় উইন্ডিজ। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান অফ স্পিনার নাইম হাসান। তার বলে বিভ্রান্ত হয়ে ৪২ রান করে ফেরেন ডি সিলভা। 

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে রীতিমতো উইকেট হারান জার্মেইন ব্লাকউড, কেমার রোচ ও রাহমিক কর্নওয়াল। ব্লাকউড ৯টি চারের সাহায্যে ৬৮ রান করলেও রোচ-রাহমিক ফেরেন ০ ও ২ রানে। উইন্ডিজ শিবিরে শেষ পেরেকটি মারেন তাইজুল ইসলাম। তার বাঁ-হাতি স্পিনে জোমেল ওয়ারিক্যান শিকার হলে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

বাংলাদেশ দলের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেন ৫৮ রানে ৪ উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসান।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৫:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
২২৪ Time View

তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ২১৮

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আট নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তৃতীয় দিনটিও নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। তার অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ২৫৯ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আগের দিনে ব্যাট হাতে ১০৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলা মিরাজ শুক্রবার ৫৮ রান খরচায় শিকার করেন ক্যারিবীয় ৪ উইকেট। তবে মেহেদী রাঙা দিনে ব্যর্থ টাইগার ব্যাটসম্যানরা। 

প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করা টাইগাররা মাত্র ১ রান তুলতেই হারায় ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৩৩ রান জমা হতেই নেই তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম অনিকের উইকেট। 

প্রথম ইনিংসে ৯ রানে ক্যারিবীয় তারকা পেসার কেমার রোচের গতির শিকার হয়ে বোল্ড হওয়া তামিম ইকবাল শুক্রবার দ্বিতীয় ইনিংসে রাহকিম কর্নওয়ালের ঘূর্ণিবলে বিভ্রান্ত হয়ে শূন্যরানে ফেরেন।

দলীয় এক রানে তামিম ইকবালের পর সাজঘরে ফেরেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ইনিংসে ২৫ রানে রানআউট হওয়া শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন শূন্যরানে। তিনিও তামিম ইকবালের মতো রাহকিম কর্নওয়ালের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হন। 

১ রানে দুই উইকেট পতনের পর হাল ধরতে পারেননি অন্য ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। প্রথম ইনিংসে ৫৯ রান করা এই তরুণ ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরেন মাত্র ৫ রানে।  

৩৩ রানে তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম অনিকের বিদায়ের পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৭ রান। ৩১ ও ১০ রানে অপরাজিত মুমিনুল-মুশফিক। বাংলাদেশ দলের লিড ২১৮ রান।

এর আগে বাংলাদেশ দলের করা ৪৩০ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বৃহস্পতিবার ২ উইকেটে ৭৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুক্রবার তৃতীয় দিনে ব্যাটিয়ে নেমে শুরুতেই এনকেরুমা বোর্নকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। আগের দিনে ১৭ রান করা ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান এদিন আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি। 

ইনিংসের শুরু থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাওয়া ক্যারিবীয় ওপেনার ক্রেগ ব্রাথওয়েটকে দলীয় ১৩০ রানে বোল্ড করেন নাইম হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে উইন্ডিজের এই অধিনায়ক করেন ৭৬ রান। এরপর ২৪ রানের ব্যবধানে কাইল মায়ার্সকে (৪০) ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। 

ষষ্ঠ উইকেটে জশুয়া ডি সিলভাকে সঙ্গে নিয়ে ৯৯ রানের জুটি গড়েন জার্মেইন ব্লাকউড। তাদের এ জুটিতেই ফলোঅন এড়ায় উইন্ডিজ। অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান অফ স্পিনার নাইম হাসান। তার বলে বিভ্রান্ত হয়ে ৪২ রান করে ফেরেন ডি সিলভা। 

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে রীতিমতো উইকেট হারান জার্মেইন ব্লাকউড, কেমার রোচ ও রাহমিক কর্নওয়াল। ব্লাকউড ৯টি চারের সাহায্যে ৬৮ রান করলেও রোচ-রাহমিক ফেরেন ০ ও ২ রানে। উইন্ডিজ শিবিরে শেষ পেরেকটি মারেন তাইজুল ইসলাম। তার বাঁ-হাতি স্পিনে জোমেল ওয়ারিক্যান শিকার হলে ২৫৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

বাংলাদেশ দলের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেন ৫৮ রানে ৪ উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসান।