একাদশ সংসদ নির্বাচনেও পর্যবেক্ষক পাঠাবে না ইইউ
সবুজদেশ ডেক্সঃ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনেও পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে তারা নির্বাচন প্রক্রিয়া, নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিবেশ জানতে নভেম্বরের শেষে দুজন বিশেষজ্ঞ পাঠাবে।
জানা যায়, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ইইউসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ইইউ সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি (নোট ভার্বাল) দিয়ে জানিয়ে দেয়। এতে ইইউকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমন্ত্রণের জন্য ইসিকে ধন্যবাদও দেয়া হয়।
পর্যবেক্ষক না পাঠালেও বৃহস্পতিবার ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইইউর রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরেংকে সাংবাদিকদের বলেন, তারা দুই সদস্যের ইলেকশন এক্সপার্ট মিশন পাঠাবে। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবে। তারা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মতামত দেবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করে বাংলাদেশে একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে উৎসাহিত করে।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতকালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে তাদের অবস্থানের কথা তুলে ধরেছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সাক্ষাতকালে ইইউর পক্ষ থেকে ওই চিঠিও ইসিকে সরবরাহ করা হয় বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার রকিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আসবে কিনা সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে যেই আসুন নীতিমালা মেনেই আসতে হবে।
ইইউর ৭ সদস্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা আমাদের কাছে পর্যবেক্ষক সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের বলেছি, আমাদের ১১৯টি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ গ্রুপ রয়েছে। এছাড়া বাইরের দেশ থেকে পর্যবেক্ষকরা আসতে চাইলে, তাদের স্বাগত জানানো হবে। তাদের জন্য একটি নীতিমালা আছে। সে অনুযায়ী তারা সবকিছু করতে পারবে।
ইসি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইইউ কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। তবে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতাধিক পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছিল ইইউ।