ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোড়া পেনাল্টির ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয়বঞ্চিত বার্সা

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আবারও হতাশার গল্প লিখল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) কাছে ১-৪ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর, আজ (রোববার) তাদের সামনে সুযোগ ছিল তুলনামূলক দুর্বল কাদিজকে হারিয়ে জয়ের রাস্তায় ফেরার। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেনি রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।

গত ডিসেম্বরে স্প্যানিশ লা লিগায় কাদিজের মাঠেই সবশেষ পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল বার্সেলোনা। এবার ছিল সেই পরাজয়ের বদলা নেয়ারও সুযোগ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পেনাল্টিতে গোল হজম করে তারা মাঠ ছেড়েছে জয়বঞ্চিত থেকে। জোড়া পেনাল্টির ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ গোলের নিষ্ফলা ড্রয়ে।

নিজেদের ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে তুলনামূলক দুর্বল দল কাদিজের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে কাতালান ক্লাবটি। পুরো ম্যাচের ৮১ ভাগ সময় বলের দখল ছিল তাদেরই দখলে। অন্তত ২১ বার গোলের উদ্দেশ্যে শটও করেছে তারা। কিন্তু সাফল্য মিলেছে মাত্র একবার। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রেখেই ১ পয়েন্ট নিয়ে গেছে কাদিজ।

অবশ্য বার্সাকে আটকে রাখার কৃতিত্ব দিতেই হবে কাদিজের রক্ষণভাগকে। প্রতিপক্ষ শিবিরের সাজানো ৯ ডিফেন্ডারের রক্ষণ ভাঙতে বেশ কয়েকবার আচমকা শট নেন লিওনেল মেসি, অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান, ওসুমানে দেম্বেলেরা। কিন্তু কোনোটিতেই মেলেনি সাফল্য। গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে।

গোলশূন্য অবস্থায় ম্যাচের আধঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর, ডি-বক্সের মধ্যে কাদিজের দুই ডিফেন্ডার মিলে ফেলে দেন পেদ্রিকে। তৎক্ষণাৎ পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক মেসি। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে গোল করলেন তিনি এবং লিগে মেসির গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৬-তে।

লা লিগায় এ নিয়ে ৩৮তম দলের বিপক্ষে গোল করলেন মেসি। কোনো লিগে এতগুলো প্রতিপক্ষের জালে গোলের রেকর্ড নেই আর কারও। এছাড়াও ঘরোয়া টুর্নামেন্টটিতে পেনাল্টির রেকর্ডও নিজের করে নেয়ার পথে রয়েছেন মেসি। লা লিগায় তার পেনাল্টি গোল হলো ৬০টি। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকার লা লিগায় পেনাল্টি গোল ৬১টি।

মেসির এই গোলের পর প্রথমার্ধেই আরও দুইবার বল জালে প্রবেশ করায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের সময় ফ্রেংকি ডি ইয়ং এবং ৪৪ মিনিটের সময় পেদ্রি গোল করলেও, অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় দুইটিই। তবু মেসির করা এক গোলের মাধ্যমেই জয়ের পথে এগুচ্ছিল বার্সেলোনা।

অবশ্য আরও একের বেশি সুযোগ এসেছিল গ্রিজম্যান-দেম্বেলের সামনে। কিন্তু কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি তারা। বল পায়ে কারিকুরি দেখাতে গিয়ে গোলের সহজ সুযোগ হারান দেম্বেলে। দ্বিতীয়ার্ধের আধঘণ্টা পেরুনোর আগে অধিনায়ক মেসিও গোলে খুব কাছে বল পেয়েছিলেন, সাফল্য মেলেনি সেবারও।

দাঁতে দাঁত চেপে বার্সার আক্রমণ ঠেকাতে থাকা কাদিজের সামনে আশীর্বাদ হয়ে আসেন স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ত লংলে। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের মাত্র ২ মিনিট বাকি থাকতে ডি-বক্সের মধ্যে অহেতুক ফাউল করেন লংলে, পেনাল্টি পায় কাদিজ। যেখান থেকে গোল করে শেষ মুহূর্তে বার্সার ২টি পয়েন্ট কমিয়ে দেন অ্যালেক্স ফার্নান্দেজ।

জোড়া পেনাল্টির এই ম্যাচে তিনবার বল জালে জড়িয়েও জয়বঞ্চিত থাকা বার্সেলোনা পয়েন্ট টেবিলেও নড়বড়ে করে ফেলেছে নিজেদের অবস্থান। কাদিজের সঙ্গে ড্রয়ের পর এখন ২৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪৭ পয়েন্ট, অবস্থান তৃতীয়।

বার্সেলোনার সমান ২৩ ম্যাচ খেলে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুই নম্বরে। বার্সাকে রুখে দিয়ে ২৪ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে রয়েছে কাদিজ।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:৩৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
২৭৬ Time View

জোড়া পেনাল্টির ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয়বঞ্চিত বার্সা

আপডেট সময় : ১০:৩৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আবারও হতাশার গল্প লিখল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) কাছে ১-৪ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর, আজ (রোববার) তাদের সামনে সুযোগ ছিল তুলনামূলক দুর্বল কাদিজকে হারিয়ে জয়ের রাস্তায় ফেরার। কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেনি রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।

গত ডিসেম্বরে স্প্যানিশ লা লিগায় কাদিজের মাঠেই সবশেষ পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছিল বার্সেলোনা। এবার ছিল সেই পরাজয়ের বদলা নেয়ারও সুযোগ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পেনাল্টিতে গোল হজম করে তারা মাঠ ছেড়েছে জয়বঞ্চিত থেকে। জোড়া পেনাল্টির ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ গোলের নিষ্ফলা ড্রয়ে।

নিজেদের ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে তুলনামূলক দুর্বল দল কাদিজের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে কাতালান ক্লাবটি। পুরো ম্যাচের ৮১ ভাগ সময় বলের দখল ছিল তাদেরই দখলে। অন্তত ২১ বার গোলের উদ্দেশ্যে শটও করেছে তারা। কিন্তু সাফল্য মিলেছে মাত্র একবার। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রেখেই ১ পয়েন্ট নিয়ে গেছে কাদিজ।

অবশ্য বার্সাকে আটকে রাখার কৃতিত্ব দিতেই হবে কাদিজের রক্ষণভাগকে। প্রতিপক্ষ শিবিরের সাজানো ৯ ডিফেন্ডারের রক্ষণ ভাঙতে বেশ কয়েকবার আচমকা শট নেন লিওনেল মেসি, অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান, ওসুমানে দেম্বেলেরা। কিন্তু কোনোটিতেই মেলেনি সাফল্য। গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে।

গোলশূন্য অবস্থায় ম্যাচের আধঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর, ডি-বক্সের মধ্যে কাদিজের দুই ডিফেন্ডার মিলে ফেলে দেন পেদ্রিকে। তৎক্ষণাৎ পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক মেসি। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচে গোল করলেন তিনি এবং লিগে মেসির গোলসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৬-তে।

লা লিগায় এ নিয়ে ৩৮তম দলের বিপক্ষে গোল করলেন মেসি। কোনো লিগে এতগুলো প্রতিপক্ষের জালে গোলের রেকর্ড নেই আর কারও। এছাড়াও ঘরোয়া টুর্নামেন্টটিতে পেনাল্টির রেকর্ডও নিজের করে নেয়ার পথে রয়েছেন মেসি। লা লিগায় তার পেনাল্টি গোল হলো ৬০টি। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকার লা লিগায় পেনাল্টি গোল ৬১টি।

মেসির এই গোলের পর প্রথমার্ধেই আরও দুইবার বল জালে প্রবেশ করায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের সময় ফ্রেংকি ডি ইয়ং এবং ৪৪ মিনিটের সময় পেদ্রি গোল করলেও, অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় দুইটিই। তবু মেসির করা এক গোলের মাধ্যমেই জয়ের পথে এগুচ্ছিল বার্সেলোনা।

অবশ্য আরও একের বেশি সুযোগ এসেছিল গ্রিজম্যান-দেম্বেলের সামনে। কিন্তু কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি তারা। বল পায়ে কারিকুরি দেখাতে গিয়ে গোলের সহজ সুযোগ হারান দেম্বেলে। দ্বিতীয়ার্ধের আধঘণ্টা পেরুনোর আগে অধিনায়ক মেসিও গোলে খুব কাছে বল পেয়েছিলেন, সাফল্য মেলেনি সেবারও।

দাঁতে দাঁত চেপে বার্সার আক্রমণ ঠেকাতে থাকা কাদিজের সামনে আশীর্বাদ হয়ে আসেন স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার ক্লেমেন্ত লংলে। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের মাত্র ২ মিনিট বাকি থাকতে ডি-বক্সের মধ্যে অহেতুক ফাউল করেন লংলে, পেনাল্টি পায় কাদিজ। যেখান থেকে গোল করে শেষ মুহূর্তে বার্সার ২টি পয়েন্ট কমিয়ে দেন অ্যালেক্স ফার্নান্দেজ।

জোড়া পেনাল্টির এই ম্যাচে তিনবার বল জালে জড়িয়েও জয়বঞ্চিত থাকা বার্সেলোনা পয়েন্ট টেবিলেও নড়বড়ে করে ফেলেছে নিজেদের অবস্থান। কাদিজের সঙ্গে ড্রয়ের পর এখন ২৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪৭ পয়েন্ট, অবস্থান তৃতীয়।

বার্সেলোনার সমান ২৩ ম্যাচ খেলে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ২৪ ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুই নম্বরে। বার্সাকে রুখে দিয়ে ২৪ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে রয়েছে কাদিজ।