ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস চিকিৎসক, ছাত্রসহ চারজন গ্রেপ্তার, রিমান্ডে

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর গুলশান থানার নর্দ্দা বাজার মেইন রোড কালাচাঁদপুর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তিন দিনের করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক তানভির হাসান রাফি (২৭), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ফরহাদ মিয়া (২৩), এস এম আবু সাঈদ (২২) ও শাহ মোহাম্মদ ফাহিম (১৯)।

পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই চারজনকে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে এই মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল গ্রেপ্তার চারজনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে সিআইডি আদালতকে বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার আগে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহ করে পরীক্ষা চলাকালীন আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল আহসান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, একজন আসামি পরীক্ষার আগেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অপর একজনকে প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
এই মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন জাহিদুল ইসলাম, মো. ইনসান আলী ওরফে রকি, মো. মোস্তাকিম হোসেন, মো. সাদমান সালিদ, মো. তানভির আহমেদ ও মো. আবু তালেব। তাঁদের মধ্যে ইনসান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থী, আর জাহিদুল ইসলাম তাঁর বাবা। অন্যরা বগুড়ার দুটি ভর্তি তথ্যদানকারী কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী।
মামলায় বলা হয়, ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে বগুড়ার রাহেমা অ্যাডমিশন ইনফরমেশন সেন্টারের সাব্বির হোসেন ওরফে রানা এবং গুগল অ্যাডমিশন ইনফরমেশন সেন্টারের লাহাদুজ্জামান ওরফে লিমনসহ বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার কম্পিউটার সেন্টারের মালিক ও কর্মী জড়িত । এজাহারে আরও বলা হয়, জাহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, সাব্বির হোসেন ও লিমন ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষার আগেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ইনসানকে দেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৮
৯০২ Time View

ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস চিকিৎসক, ছাত্রসহ চারজন গ্রেপ্তার, রিমান্ডে

আপডেট সময় : ১০:১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর গুলশান থানার নর্দ্দা বাজার মেইন রোড কালাচাঁদপুর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তিন দিনের করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক তানভির হাসান রাফি (২৭), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ফরহাদ মিয়া (২৩), এস এম আবু সাঈদ (২২) ও শাহ মোহাম্মদ ফাহিম (১৯)।

পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই চারজনকে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে এই মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গতকাল গ্রেপ্তার চারজনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনে সিআইডি আদালতকে বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার আগে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহ করে পরীক্ষা চলাকালীন আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছেন। মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল আহসান বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, একজন আসামি পরীক্ষার আগেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অপর একজনকে প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
এই মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন জাহিদুল ইসলাম, মো. ইনসান আলী ওরফে রকি, মো. মোস্তাকিম হোসেন, মো. সাদমান সালিদ, মো. তানভির আহমেদ ও মো. আবু তালেব। তাঁদের মধ্যে ইনসান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থী, আর জাহিদুল ইসলাম তাঁর বাবা। অন্যরা বগুড়ার দুটি ভর্তি তথ্যদানকারী কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী।
মামলায় বলা হয়, ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে বগুড়ার রাহেমা অ্যাডমিশন ইনফরমেশন সেন্টারের সাব্বির হোসেন ওরফে রানা এবং গুগল অ্যাডমিশন ইনফরমেশন সেন্টারের লাহাদুজ্জামান ওরফে লিমনসহ বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার কম্পিউটার সেন্টারের মালিক ও কর্মী জড়িত । এজাহারে আরও বলা হয়, জাহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, সাব্বির হোসেন ও লিমন ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষার আগেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে ইনসানকে দেন।