বাধ্য হয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যান মাশরাফি
সবুজদেশ ডেস্কঃ
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে আচমকা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে সেই ঘোষণা অনিচ্ছাকৃত বলে দাবি করলেন খোদ মাশরাফি।
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সরাসরি বলি, ওখানে আমার অবসর নিতেই হতো, এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছিল। আমার সময়ে আমি কার কাছে সহযোগিতা পেয়েছি? ২০১১ বিশ্বকাপের আগে চিকিৎসক আমাকে সুস্থ বলে প্রতিবেদন দেয়ার পরও আমাকে নেয়া হয়নি। এরপরে ২০১৭ সালে যখন আমি অবসরে গেলাম, তখনও আমি কাউকে কিছু বলিনি।’
মাশরাফির দাবি সবার বিরুদ্ধে গিয়ে দলে টিকে থাকতে চাননি তিনি। তাই বাধ্য হয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন শ্রীলঙ্কায় টিম হোটেলে পৌঁছাই, তখনই আমার সঙ্গে একটা বৈঠক বসে। ওটার পরেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটছে। টি-টোয়েন্টি জিনিসটা যখনই আসে তখনই দেখি যে একটা অন্যরকম কিছু।
আমিও ভাবলাম সবার বিপক্ষে থাকার দরকার নেই। তখন আমি ওয়ানডে থেকেও কেন অবসর নিইনি এই প্রশ্ন আসতে পারে। কারণ আমিও একজন খেলোয়াড়।’
মাশরাফিকে আনুষ্ঠানিক অবসরের স্বীকৃতি দিতে চাওয়া হলেও তিনি রাজি নন, এমন কথাও শোনা গিয়েছে অনেকবার। কিন্তু মাশরাফির দাবি বিপরীত।
তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক কোথায় কথা হয়েছে? সারাবিশে^র আনুষ্ঠানিকতা আপনারা দেখেননি? আর এটা পাপন ভাইয়ের দোষ কেন হবে? এখানে তো বোর্ড সভাপতির ডাকার কথা না। সবার আগে নির্বাচকরা ও কোচ এভাবে বলবেন যে ঠিক আছে, তুমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ১৮-২০ বছর খেলেছো। আমরা এখন এগোতে চাই। সামনের বিশ^কাপে আমি খেলব না এটাই তারা চাচ্ছে। বলতে পারতো নির্দিষ্ট একটা ম্যাচ আছে ওটা তুমি খেলে সরে যেতে পারো। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে জানিয়ে দিতে পারতো, গণমাধ্যমে এসে বলতে হবে এমন তো না। কেবল জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে পাপন ভাই আমাকে কিছু বলেছিলেন, কিন্তু সরাসির বলতে পারেননি। বুঝেছিলাম এটা বলা উনার জন্যও কঠিন।
কিন্তু আপনি যখন পেশাদার হবেন, তখন পেশাদারি মনোভাবই দেখাতে হবে।’
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসের সময় মাশরাফি জানিয়েছিলেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে তার ক্যারিয়ারের শেষ টি- টোয়েন্টি।