ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Reporter Name

ঢাকাঃ

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে ক্রমাগত।লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিন আগের দিনের রেকর্ড এমনকি দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার আহ্বান জানিয়ে এক গুচ্ছ নির্দেশনাও দেওয়া হয়।কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিন এবং দ্বিতীয় দিনে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। যানজট, বেপোরোয়াভাবে মানুষ চলাফেরা করছে।এরমধ্যেই বন্ধ করে রাখা গণপরিবহন আবার বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে চালু করেছে সরকার।গণপরিবহন ফের চালুর দিনই গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩ জন। এ সময়ে করোনা ধরা পড়েছে ৭ হাজার ৬৬২ জনের শরীরে।

করোনার এই সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।করোনা নিয়ন্ত্রণে ‘অসহায়ত্ব’ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার সুনামি পৃথিবীকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। আর এটা কেবল স্বাস্থ্য সেক্টরেই না, অর্থনীতি, খাদ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা সব ক্ষেত্রেই। পৃথিবীর সব দেশের সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছি। হাসপাতাল বেড়েছে, আইসিইউ বেড়েছে, চিকিৎসা সম্পর্কে এখন জানা গেছে। করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। দেশে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এরপরও করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এবারে স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ক্যানসার, কিডনি, স্ট্রোকের রোগীসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে, তাদের চিকিৎসা দিতে পারছি না করোনায় সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, টিকা নিয়ে উদাসীনতা দেখিয়েছে। দলবেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছে। বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া, সামাজিক দূরত্ব না মেনে জড়ো হয়েছে। এসব কারণে এখন সংক্রমণের হার অনেক বেশি বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি।এ জন্য সরকারকে লকডাউন দিতে হয়েছে। একইসঙ্গে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এখন লকডাউন চলছে। মানুষকে এখন ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, অর্থনীতির জন্য সাধারণ মানুষকে সবকিছু ভেবে কাজ করার আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১
২৭৭ Time View

করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:১৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

ঢাকাঃ

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে ক্রমাগত।লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিন আগের দিনের রেকর্ড এমনকি দেশের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার আহ্বান জানিয়ে এক গুচ্ছ নির্দেশনাও দেওয়া হয়।কিন্তু লকডাউনের প্রথম দিন এবং দ্বিতীয় দিনে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। যানজট, বেপোরোয়াভাবে মানুষ চলাফেরা করছে।এরমধ্যেই বন্ধ করে রাখা গণপরিবহন আবার বুধবার (৭ এপ্রিল) থেকে চালু করেছে সরকার।গণপরিবহন ফের চালুর দিনই গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩ জন। এ সময়ে করোনা ধরা পড়েছে ৭ হাজার ৬৬২ জনের শরীরে।

করোনার এই সংক্রমণ পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।করোনা নিয়ন্ত্রণে ‘অসহায়ত্ব’ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, করোনার সুনামি পৃথিবীকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। আর এটা কেবল স্বাস্থ্য সেক্টরেই না, অর্থনীতি, খাদ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা সব ক্ষেত্রেই। পৃথিবীর সব দেশের সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। আমরা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছি। হাসপাতাল বেড়েছে, আইসিইউ বেড়েছে, চিকিৎসা সম্পর্কে এখন জানা গেছে। করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়েছে। দেশে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এরপরও করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এবারে স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ক্যানসার, কিডনি, স্ট্রোকের রোগীসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে, তাদের চিকিৎসা দিতে পারছি না করোনায় সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, টিকা নিয়ে উদাসীনতা দেখিয়েছে। দলবেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছে। বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া, সামাজিক দূরত্ব না মেনে জড়ো হয়েছে। এসব কারণে এখন সংক্রমণের হার অনেক বেশি বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি।এ জন্য সরকারকে লকডাউন দিতে হয়েছে। একইসঙ্গে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এখন লকডাউন চলছে। মানুষকে এখন ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, অর্থনীতির জন্য সাধারণ মানুষকে সবকিছু ভেবে কাজ করার আহ্বান জানান জাহিদ মালেক।