ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দি‌তে হত্যা ক‌রে প্রীতম

Reporter Name

খুলনাঃ

কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে খুলনার দৌলতপুর বিণাপানি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে প্রথমে ছাদে ওঠায় বাড়িওয়ালা প্রীতম। ধর্ষণের আগে ভারী বস্তুদিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লাইলনের দড়ি ও পরনের জুতার ফিতা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই অভিযোগ এনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই মোঃ মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন । আজ রবিবার তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি ভিকটিম তার বন্ধুদের সাথে খেলা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাড়ি না ফেরার কারণে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরে একটি ভবনের বাথরুম থেকে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রীতমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ৩০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২ টায় পুলিশ এ মামলার প্রকৃত আসামি প্রীতমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সে নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শিশুটিকে কম্বল দেওয়ার কথা বলে প্রথমে ছাদে উঠানো হয়। শিশুটি চিৎকার করলে প্রথমে তার মাথায় আঘাত করা হলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার ৬ দিন পর ওই এলাকার একটি ভবনে বাথরুম থেকে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক প্রীতম রুদ্রর আচারন সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সে ঘটনার সব বিবরণ দেয়। মামলাটি দুই মাস ২২ দিন তদন্তের পর তিনি এ হত্যাকান্ডের চার্জশীট দাখিল করেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
২৮৮ Time View

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দি‌তে হত্যা ক‌রে প্রীতম

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১

খুলনাঃ

কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে খুলনার দৌলতপুর বিণাপানি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে প্রথমে ছাদে ওঠায় বাড়িওয়ালা প্রীতম। ধর্ষণের আগে ভারী বস্তুদিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লাইলনের দড়ি ও পরনের জুতার ফিতা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই অভিযোগ এনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই মোঃ মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন । আজ রবিবার তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি ভিকটিম তার বন্ধুদের সাথে খেলা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাড়ি না ফেরার কারণে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরে একটি ভবনের বাথরুম থেকে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় তার বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রীতমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ৩০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২ টায় পুলিশ এ মামলার প্রকৃত আসামি প্রীতমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সে নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, শিশুটিকে কম্বল দেওয়ার কথা বলে প্রথমে ছাদে উঠানো হয়। শিশুটি চিৎকার করলে প্রথমে তার মাথায় আঘাত করা হলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার ৬ দিন পর ওই এলাকার একটি ভবনে বাথরুম থেকে প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিক প্রীতম রুদ্রর আচারন সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সে ঘটনার সব বিবরণ দেয়। মামলাটি দুই মাস ২২ দিন তদন্তের পর তিনি এ হত্যাকান্ডের চার্জশীট দাখিল করেন।