ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়ায় ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • ২৫৭ বার পড়া হয়েছে।

রাজবাড়ীঃ

ঈদের এখনও কয়েকদিন বাকি থাকলেও ঘরমুখো মানুষ ও ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।

শুক্রবার (৭ মে) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

এসময় পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিইয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে ব্যক্তিগত ও ভাড়ায় চালিত ছোট গাড়ি, মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে দেখা যায়নি কোনো মাস্ক।

এদিকে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিহন চলাচল শুরু হলেও ভোগান্তি এড়াতে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মাহেন্দ্রা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।

এছাড়া দিনের বেলায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছয়টি ছোট ফেরি চলাচলের কথা কর্তৃপক্ষ বললেও শুক্রবার নদীতে ফেরি চলছে ১০টির বেশি।

ঘরমুখো যাত্রী আসমা খাতুন, রিপন মোল্লা, নাঈম খানসহ অনেকে জানান, ঝুঁকি আছে জেনেও তারা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছেন। কিন্তু পথে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাসে উঠে জেলার শেষ সীমানায় নামতে হচ্ছে। দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

তারা আরও বলেন, অনেকে ব্যক্তিগতভাবে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে যাচ্ছে। সেখানে প্রতিটি সিটে বহন করা হচ্ছে যাত্রী।

বরং দূরপাল্লার বাস চলাচল করলে যেমন ভোগান্তি কমতো, তেমনি স্বাস্থ্যবিধিও অনেকটা নিশ্চিত হতো বলে মনে করেন তারা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, এ রুটে ছয়টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আজ ছোট যানবাহন ও ঘুরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যাও বাড়বে। এজন্য রুটের ১৬টি ফেরির সবগুলোই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Tag :

দৌলতদিয়ায় ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

Update Time : ০৩:১১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

রাজবাড়ীঃ

ঈদের এখনও কয়েকদিন বাকি থাকলেও ঘরমুখো মানুষ ও ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।

শুক্রবার (৭ মে) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

এসময় পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিইয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে ব্যক্তিগত ও ভাড়ায় চালিত ছোট গাড়ি, মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে দেখা যায়নি কোনো মাস্ক।

এদিকে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিহন চলাচল শুরু হলেও ভোগান্তি এড়াতে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মাহেন্দ্রা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।

এছাড়া দিনের বেলায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছয়টি ছোট ফেরি চলাচলের কথা কর্তৃপক্ষ বললেও শুক্রবার নদীতে ফেরি চলছে ১০টির বেশি।

ঘরমুখো যাত্রী আসমা খাতুন, রিপন মোল্লা, নাঈম খানসহ অনেকে জানান, ঝুঁকি আছে জেনেও তারা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছেন। কিন্তু পথে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাসে উঠে জেলার শেষ সীমানায় নামতে হচ্ছে। দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

তারা আরও বলেন, অনেকে ব্যক্তিগতভাবে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে যাচ্ছে। সেখানে প্রতিটি সিটে বহন করা হচ্ছে যাত্রী।

বরং দূরপাল্লার বাস চলাচল করলে যেমন ভোগান্তি কমতো, তেমনি স্বাস্থ্যবিধিও অনেকটা নিশ্চিত হতো বলে মনে করেন তারা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, এ রুটে ছয়টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আজ ছোট যানবাহন ও ঘুরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঈদে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যাও বাড়বে। এজন্য রুটের ১৬টি ফেরির সবগুলোই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।