ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলকে কি বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব?

Reporter Name

দুই হাজার ফিলিস্তিনি বসতি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল

সবুজদেশ ডেস্কঃ

গতমাসে দুই হাজার ফিলিস্তিনি বসতি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। গাজায় টানা ১১ দিনব্যাপী বোমা বর্ষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার। সর্বশেষ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নারী-শিশুসহ ২৪২ জন প্রাণ হারিয়েছে।

ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার ঘটনা তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব রাষ্ট্রসংঘ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, সত্যি কি ইসরাইল যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হবে কিংবা জবাবদিহিতার আওতায় আসবে?

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের ওপর সর্বশেষ সহিংসতার পূর্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইল-ফিলিস্তিনের পূর্বের সহিংসতার বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করে। আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর এই তথ্য জানিয়ে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনে কী ঘটছে সেটা তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সহিংসতার জন্য হামাস-ইসরাইল উভয়ের সমালোচনা করেন।

কিন্তু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আইসিসির তদন্ত শুরুর পদক্ষেপে নিন্দা জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সম্পূর্ণ ইহুদিবিরোধী মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইসরাইল আইসিসির বিচার মানবে না।

ইসরাইলি মানবাধিকার সংগঠন বি-সালেম’র গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ইয়েল স্টেইন বলেছেন, ইসরাইল বিচার না মানলেও আদালত তার কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। তবে যুদ্ধাপরাধের বিচার সময়সাপেক্ষ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতে হামাসের নেতারা কিংবা ইসরাইলের কর্মকর্তারা- যারাই দোষী সাব্যস্ত হোন না কেন, সেটা অনেক দেরি হবে।

ইয়েল স্টেইন বলেন, আমরা কেবল তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং সম্পূর্ণ তদন্ত করতে কয়েক বছর সময় লাগবে। এর পর হামাস অথবা ইসরাইলকে দোষী সাব্যস্ত করতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন কার্যকর করার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কারণে রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায় এবং তাদের কিছুই হয় না।

তবে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার পরিচালক এরিক গোল্ডস্টেইন বলেন, ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সচেতনতা এবং ইচ্ছায় পরিবর্তন এসেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্ত করার সিদ্ধান্ত ‘স্বাগত পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে ইসরাইলকে এই তদন্তে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার কমিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে শক্তভাবে ধরব যাতে তারা সকল পার্টির মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্ত করে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:১৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
২৪৩ Time View

ইসরাইলকে কি বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব?

আপডেট সময় : ১০:১৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

গতমাসে দুই হাজার ফিলিস্তিনি বসতি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। গাজায় টানা ১১ দিনব্যাপী বোমা বর্ষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৫ হাজার। সর্বশেষ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নারী-শিশুসহ ২৪২ জন প্রাণ হারিয়েছে।

ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার ঘটনা তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব রাষ্ট্রসংঘ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, সত্যি কি ইসরাইল যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হবে কিংবা জবাবদিহিতার আওতায় আসবে?

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের ওপর সর্বশেষ সহিংসতার পূর্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইল-ফিলিস্তিনের পূর্বের সহিংসতার বিষয়ে একটি তদন্ত শুরু করে। আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর এই তথ্য জানিয়ে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনে কী ঘটছে সেটা তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সহিংসতার জন্য হামাস-ইসরাইল উভয়ের সমালোচনা করেন।

কিন্তু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আইসিসির তদন্ত শুরুর পদক্ষেপে নিন্দা জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সম্পূর্ণ ইহুদিবিরোধী মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইসরাইল আইসিসির বিচার মানবে না।

ইসরাইলি মানবাধিকার সংগঠন বি-সালেম’র গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ইয়েল স্টেইন বলেছেন, ইসরাইল বিচার না মানলেও আদালত তার কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। তবে যুদ্ধাপরাধের বিচার সময়সাপেক্ষ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতে হামাসের নেতারা কিংবা ইসরাইলের কর্মকর্তারা- যারাই দোষী সাব্যস্ত হোন না কেন, সেটা অনেক দেরি হবে।

ইয়েল স্টেইন বলেন, আমরা কেবল তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং সম্পূর্ণ তদন্ত করতে কয়েক বছর সময় লাগবে। এর পর হামাস অথবা ইসরাইলকে দোষী সাব্যস্ত করতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন কার্যকর করার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কারণে রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায় এবং তাদের কিছুই হয় না।

তবে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার পরিচালক এরিক গোল্ডস্টেইন বলেন, ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সচেতনতা এবং ইচ্ছায় পরিবর্তন এসেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্ত করার সিদ্ধান্ত ‘স্বাগত পদক্ষেপ’ উল্লেখ করে ইসরাইলকে এই তদন্তে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার কমিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে শক্তভাবে ধরব যাতে তারা সকল পার্টির মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্ত করে।

সবুজদেশ/এসইউ