ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত রোগীর আত্মহত্যা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • ৩২৩ বার পড়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গলায় ফাঁস দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে করোনা আক্রান্ত এক রোগী আত্মহত্যা করেছেন।

রোববার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে নিজ ঘরে তিনি আত্মহত্যা করেন। মৃত আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার গড়গড়ি গ্রামের সাহাজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।

আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুর রাজ্জাক কিছু দিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। গত ১৬ জুন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে তার করোনা পজিটিভ হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আমার স্বামী মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়ে। কিন্তু সে শারীরিকভাবে সুস্থই ছিল। সে আলাদা ঘরে ছিল ঠিকই কিন্তু সব সময় তাকে দেখভাল করছিলাম। আজ সকালে তার কাশির শব্দ শুনতে পাই। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে তাকে ডাকতে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় সে ঝুলছে।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হলে ১৭ জুন তার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়। আজ আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে যাই এবং পুলিশে খবর দিই। আমার ধারণা, গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার কারণে লজ্জা ও ঘৃণায় আত্মহত্যা করেছে।’

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৬ জুন নমুনা দিলে ওই দিনই তার করোনা পজিটিভ হয়। তিনি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন।’

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, ‘গড়গড়ি গ্রামে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

Tag :

চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত রোগীর আত্মহত্যা

Update Time : ০১:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গলায় ফাঁস দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে করোনা আক্রান্ত এক রোগী আত্মহত্যা করেছেন।

রোববার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে নিজ ঘরে তিনি আত্মহত্যা করেন। মৃত আব্দুর রাজ্জাক উপজেলার গড়গড়ি গ্রামের সাহাজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন।

আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুর রাজ্জাক কিছু দিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। গত ১৬ জুন র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে তার করোনা পজিটিভ হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী ময়না খাতুন বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আমার স্বামী মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়ে। কিন্তু সে শারীরিকভাবে সুস্থই ছিল। সে আলাদা ঘরে ছিল ঠিকই কিন্তু সব সময় তাকে দেখভাল করছিলাম। আজ সকালে তার কাশির শব্দ শুনতে পাই। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে তাকে ডাকতে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় সে ঝুলছে।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন বলেন, ‘করোনা শনাক্ত হলে ১৭ জুন তার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়। আজ আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে যাই এবং পুলিশে খবর দিই। আমার ধারণা, গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার কারণে লজ্জা ও ঘৃণায় আত্মহত্যা করেছে।’

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৬ জুন নমুনা দিলে ওই দিনই তার করোনা পজিটিভ হয়। তিনি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন।’

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, ‘গড়গড়ি গ্রামে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। তিনি জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’