বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ জেলায় করোনা সংক্রমন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা হয়েছে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। আর এই বিধি নিষেধের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও থেমে নেই যাত্রীদের আসা যাওয়া। ইজিবাইক, সিএনজি ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। আর গন্তব্যে যাওয়ার একমাত্র ভরসা এখন এই যানবাহনগুলো।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ঝিনাইদহ জেলায় ৭ দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিধি নিষেধ মানাতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়া থেমে নেই।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার শহর ঘুরে দেখা গেছে, ইজিবাইক-রিক্সা-ভ্যান ও সিএনজিতে করে মানুষ আসা-যাওয়া করছে। বিভিন্ন স্থানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তবুও থেমে নেই আসা-যাওয়া। এদিকে শহরের মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে মাথাপিছু ১০০ টাকা করে ভাড়ায় যশোর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১৮ সিটের মাইক্রোবাসে ১৮ জন ঠাসাঠাসি করে নিয়ে ছাড়া হচ্ছে গাড়ি। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ অভিযান চালালে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকছে, এরপর শুরু হচ্ছে আবার যাত্রী তোলা। এতে দুর-দুরান্ত থেকে আসা মানুষের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল একটি ১৮ সিটের মাইক্রোবাস। পিছনে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি। ২০ গজ যেতেই সেই মাইক্রোবাস টিকে ওভারটেক করে আটকিয়ে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভূপালী সরকার। মাইক্রোবাস চালককে করেন এক হাজার টাকা জরিমানা।
এসময় মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা মালামাল রেখে পালিয়ে যান। পরে মাইক্রোবাস থেকে মালামাল নামিয়ে দেয় পুলিশ।
এদিকে বুধবার মাইক্রোবাসে যাত্রী তোলার অপরাধে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এক মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার চালকের প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
ভিডিও…