জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি: আইজিপি
সবুজদেশ ডেক্সঃ ‘সরকার দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আমাদেরকে তা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। পুলিশের লক্ষ্য হবে দেশ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা’।
রাজশাহীর সারদায় থাকা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ২৫তম শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট (২০১৭) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কথা বলেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এই সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আপনাদের সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এখান থেকে লব্ধ জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ বাস্তব জীবনে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।
সকল প্রকার লোভ-লালসা ও স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে জননিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করতে নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, সামনে আসা বাধা-বিপত্তি ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একদিন বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
এ সময় নবীন কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও ন্যায় পরায়ণতার সাথে কর্মজীবনে জনগণের সেবক হিসেবে আত্মনিয়োগ করারও আহবান জানান আইজিপি।
এর আগে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ২৫তম শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট (২০১৭) ব্যাচের অভিবাদন গ্রহণ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। পরে প্রশিক্ষণকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে পদক প্রদান করেন।
শিক্ষানবিশ সার্জেন্টদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্ আল নোমানকে বেস্ট সার্জেন্ট, সাদ্দাম হোসেনকে একাডেমিক আইন বিষয়ে পারদর্শিতা, সাবিনা ইয়াহমিনকে প্যারেড, হামিদুর রহমানকে পিটি, সৌরভ কুমার কুণ্ডুকে মাসকেট্রি (ফায়ারিং) ও মির্জা মাহমুদ উল হক শাহেদকে ইক্যুইটেশন (অশ্বারোহণ) বিদ্যায় দক্ষতার জন্য পদক প্রদান করা হয়।
অভিবাদন গ্রহণকালে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান ও ভাইস-প্রিন্সিপাল, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রধান অতিথির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
একাডেমির সহকারী পুলিশ সুপার নিমাই চন্দ্র সরকার প্যারেড কমান্ডার হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিচালনা করেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোট ৬৩৫ জন শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট তাদের এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ করেন।