ঢাকা ১১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে বন্ধ হচ্ছে বিদেশি সিরিয়াল

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

দেশে বিদেশি সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা জানান। 

বিদেশি সিরিয়াল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি সিরিয়াল আমাদের দেশে দেখছে। এটা সঠিক। এজন্য যেসব বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলো একটি কমিটির মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর এ ধরনের সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন ওই কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে প্রদর্শন করতে হয়।

বাংলাদেশের টেলিভিশন পার্শ্ববর্তী দেশে প্রদর্শিত হয় কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে পদর্শিত হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরো ভারতবর্ষে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর আপনি যদি, ত্রিপুরায় যান- দেখতে পারবেন সেখানের বাংলাদেশের সব চ্যানেলগুলো চলছে। আপনি যদি গুয়াহাটিতে যান সেখানে দেখতে পারবেন যে, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। কলকাতায়ও বেশ কয়েকটি চ্যানেল প্রদর্শিত হয়। এখানে দু’দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ভারত সরকারের ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা উচ্চ ফি দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, আগের সিনেমা হলে মানুষ যেতে চায় না। সিনেমা হলের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এই আধুনিকায়নের জন্য আমি সিনেমা হলের মালিক ও পরিচালকদের সঙ্গে বসেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি নির্দেশনা দিয়েছেন। আর সিনেমা হল যাতে বৃদ্ধি পায়, তিনি ১ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, একথা সত্য যে, হল কমে গেছে। আকাশ সংস্কৃতির কারণে এবং আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবা, টেলিভিশন এবং একইসঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ নানান কিছুর কারণে মানুষ আগের মতো এখন আর হলে যায় না। এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নয়, সমগ্র বিশ্বের প্রেক্ষাপট। বোম্বে শহর, যেটাকে চলচ্চিত্রের রাজধানী বলা হয়, গত ১০ বছরে অনেকগুলো হল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশেও কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পে স্বর্ণালী দিন ছিল। সেই দিন ফিরে আনার জন্য ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যে অনুদান, সেটা দ্বিগুণ করা হয়েছে। অনুদানের অঙ্কও আমরা বাড়িয়েছি। আগে কমার্শিয়াল ছবিতে অনুদান দেওয়া হতো না, এখন আর্ট ফিল্মের পাশাপাশি কমার্শিয়াল ছবিতেও অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আর অনুদানের টাকায় ভালো ভালো ছবি নির্মিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক পুরষ্কারও পেয়েছে।

চলতি বছরে ২০টি ছবিতে অনুদান দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান দেওয়া হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
২২২ Time View

দেশে বন্ধ হচ্ছে বিদেশি সিরিয়াল

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

দেশে বিদেশি সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা জানান। 

বিদেশি সিরিয়াল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি সিরিয়াল আমাদের দেশে দেখছে। এটা সঠিক। এজন্য যেসব বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং প্রদর্শিত হচ্ছে, সেগুলো একটি কমিটির মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আর এ ধরনের সিরিয়াল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন ওই কমিটির মাধ্যমে অনুমোদন নিয়ে প্রদর্শন করতে হয়।

বাংলাদেশের টেলিভিশন পার্শ্ববর্তী দেশে প্রদর্শিত হয় কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশে পদর্শিত হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পুরো ভারতবর্ষে প্রদর্শিত হচ্ছে। আর আপনি যদি, ত্রিপুরায় যান- দেখতে পারবেন সেখানের বাংলাদেশের সব চ্যানেলগুলো চলছে। আপনি যদি গুয়াহাটিতে যান সেখানে দেখতে পারবেন যে, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে। কলকাতায়ও বেশ কয়েকটি চ্যানেল প্রদর্শিত হয়। এখানে দু’দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। ভারত সরকারের ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা উচ্চ ফি দাবি করেন।

মন্ত্রী বলেন, আগের সিনেমা হলে মানুষ যেতে চায় না। সিনেমা হলের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। এই আধুনিকায়নের জন্য আমি সিনেমা হলের মালিক ও পরিচালকদের সঙ্গে বসেছি। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি নির্দেশনা দিয়েছেন। আর সিনেমা হল যাতে বৃদ্ধি পায়, তিনি ১ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, একথা সত্য যে, হল কমে গেছে। আকাশ সংস্কৃতির কারণে এবং আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবা, টেলিভিশন এবং একইসঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ নানান কিছুর কারণে মানুষ আগের মতো এখন আর হলে যায় না। এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নয়, সমগ্র বিশ্বের প্রেক্ষাপট। বোম্বে শহর, যেটাকে চলচ্চিত্রের রাজধানী বলা হয়, গত ১০ বছরে অনেকগুলো হল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সিনেপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশেও কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পে স্বর্ণালী দিন ছিল। সেই দিন ফিরে আনার জন্য ইতোমধ্যে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য যে অনুদান, সেটা দ্বিগুণ করা হয়েছে। অনুদানের অঙ্কও আমরা বাড়িয়েছি। আগে কমার্শিয়াল ছবিতে অনুদান দেওয়া হতো না, এখন আর্ট ফিল্মের পাশাপাশি কমার্শিয়াল ছবিতেও অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আর অনুদানের টাকায় ভালো ভালো ছবি নির্মিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক পুরষ্কারও পেয়েছে।

চলতি বছরে ২০টি ছবিতে অনুদান দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদান দেওয়া হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ