ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিজবুল্লাহর কাছে দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র, উৎকণ্ঠায় ইসরাইল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১
  • ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে।

ইসরাইল কমান্ডার গুই যুর এর মতে-হেজবুল্লাহ বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী গেরিলা যোদ্ধা। ছবি: বিবিসি

সবুজদেশ ডেস্কঃ

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহর কাছে বর্তমানে দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে ইসরাইল।

হিজবুল্লাহ-ইসরাইল যুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইসরাইলের গণমাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলের বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম ওয়ালার খবরে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর গত ১৫ বছরে হিজবুল্লাহ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ অনেক বাড়িয়েছে। তাদের অস্ত্রাগারে ২০০ কিলোমিটার পাল্লার গাইডেড মিসাইল রয়েছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলোর পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

ইসরাইলের সামরিক বিশ্লেষক এলওয়ান বেন ডাফিন বলেছেন, হিজবুল্লাহর কাছে শত শত নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ইসরাইল কমান্ডার গুই যুর এর মতে-হেজবুল্লাহ বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী গেরিলা যোদ্ধা।

গত বছরের শেষ দিকে হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, তাদের নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে এবং ইসরাইলের যেকোনো স্থানে তারা হামলা চালাতে সক্ষম।

২০০৬ সালের জুলাই মাসে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইসরাইলের গর্ব বেশ কয়েকটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস হয়। এ ট্যাংক গুলোকে তারা বিশ্বের সেরা ট্যাংক হিসাবে দাবি করে।

১৪ আগষ্ট আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি হয়। ইসরাইল সরকার সামান্য মিলিশিয়াদের কাছে পরাজয়ের জন্য নিজ দেশের জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের পদত্যাগের দাবি ওঠে। হিজবুল্লাহ লেবানিজদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

Tag :

হিজবুল্লাহর কাছে দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র, উৎকণ্ঠায় ইসরাইল

Update Time : ০৮:১১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহর কাছে বর্তমানে দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে ইসরাইল।

হিজবুল্লাহ-ইসরাইল যুদ্ধের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইসরাইলের গণমাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলের বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম ওয়ালার খবরে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর গত ১৫ বছরে হিজবুল্লাহ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ অনেক বাড়িয়েছে। তাদের অস্ত্রাগারে ২০০ কিলোমিটার পাল্লার গাইডেড মিসাইল রয়েছে। এছাড়া হিজবুল্লাহর ড্রোনগুলোর পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

ইসরাইলের সামরিক বিশ্লেষক এলওয়ান বেন ডাফিন বলেছেন, হিজবুল্লাহর কাছে শত শত নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ইসরাইল কমান্ডার গুই যুর এর মতে-হেজবুল্লাহ বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী গেরিলা যোদ্ধা।

গত বছরের শেষ দিকে হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, তাদের নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে এবং ইসরাইলের যেকোনো স্থানে তারা হামলা চালাতে সক্ষম।

২০০৬ সালের জুলাই মাসে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে ইসরাইলের গর্ব বেশ কয়েকটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস হয়। এ ট্যাংক গুলোকে তারা বিশ্বের সেরা ট্যাংক হিসাবে দাবি করে।

১৪ আগষ্ট আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি হয়। ইসরাইল সরকার সামান্য মিলিশিয়াদের কাছে পরাজয়ের জন্য নিজ দেশের জনগণের কাছে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের পদত্যাগের দাবি ওঠে। হিজবুল্লাহ লেবানিজদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।