ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ মার্চ ২০২৫, ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের হোমে ‘আটকা’ নারীদের দেশে ফেরার অপেক্ষায়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে।

যশোরঃ

চার বছর ধরে তার ঠিকানা ভারতের হাওড়ার লিলুয়া হোম। সেখানে ‘বন্দিদশা’ কাটিয়ে এখনও বাংলাদেশে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারেননি ওই তরুণী। অথচ, নারী পাচারের যে মামলায় জড়িয়ে থাকার কারণে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না, সেই মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বাংলাদেশে থাকা পরিজনেরাও তাদের মেয়েকে বার বার ফিরিয়ে আনতে গিয়েও পারেননি।

অভিযোগ, স্রেফ সরকারি উদ্যোগের অভাবে মুক্তি পাচ্ছেন না ওই তরুণী। শুধু ওই তরুণীই নন। এই একই কারণে বাংলাদেশের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না আরও অনেক কিশোরী ও তরুণী। এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি প্রভাবশালী দৈনিক।

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলা সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ওই তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালে বনগাঁয় আনে এক দালাল। এর পরে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর এক যৌনপল্লিতে। সেখান থেকে ছ’মাস পরে পালিয়ে আসেন তিনি। ঠিক করেন, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসবেন। কিন্তু, তা আর হয়ে ওঠেনি।

তরুণীর ভাষ্য, অচেনা জায়গায় ট্রেন থেকে নামতেই ফের দালালদের খপ্পরে পড়েন তিনি। দালালরা তাকে বাড়ি ফেরানোর জন্য সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তার বদলে তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে আয় করা টাকা ও গয়না চুরি করে পালায় দালালরা। পরে ওই দালালরাই বনগাঁ থানায় খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয় তরুণীকে। আদালতের নির্দেশে তার স্থান হয় লিলুয়া হোমে।

নারী ও শিশু পাচাররোধ ও তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ করে যশোরভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘রাইটস যশোর’। ওই সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ‘হাওড়ার লিলুয়া হোমে বাংলাদেশি অনেক নারী ও তরুণী দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছে। আমরা দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানিয়েছি। আটকে থাকা নারীদের নাম-ঠিকানা পরীক্ষা করা হচ্ছে। খুব দ্রুত বিষয়টি তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।’

Tag :

ভারতের হোমে ‘আটকা’ নারীদের দেশে ফেরার অপেক্ষায়

Update Time : ০৮:৫১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অগাস্ট ২০২১

যশোরঃ

চার বছর ধরে তার ঠিকানা ভারতের হাওড়ার লিলুয়া হোম। সেখানে ‘বন্দিদশা’ কাটিয়ে এখনও বাংলাদেশে মা-বাবার কাছে ফিরতে পারেননি ওই তরুণী। অথচ, নারী পাচারের যে মামলায় জড়িয়ে থাকার কারণে তিনি দেশে ফিরতে পারছেন না, সেই মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বাংলাদেশে থাকা পরিজনেরাও তাদের মেয়েকে বার বার ফিরিয়ে আনতে গিয়েও পারেননি।

অভিযোগ, স্রেফ সরকারি উদ্যোগের অভাবে মুক্তি পাচ্ছেন না ওই তরুণী। শুধু ওই তরুণীই নন। এই একই কারণে বাংলাদেশের বাড়িতে ফিরতে পারছেন না আরও অনেক কিশোরী ও তরুণী। এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি প্রভাবশালী দৈনিক।

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলা সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ওই তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালে বনগাঁয় আনে এক দালাল। এর পরে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর এক যৌনপল্লিতে। সেখান থেকে ছ’মাস পরে পালিয়ে আসেন তিনি। ঠিক করেন, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরে আসবেন। কিন্তু, তা আর হয়ে ওঠেনি।

তরুণীর ভাষ্য, অচেনা জায়গায় ট্রেন থেকে নামতেই ফের দালালদের খপ্পরে পড়েন তিনি। দালালরা তাকে বাড়ি ফেরানোর জন্য সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তার বদলে তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে আয় করা টাকা ও গয়না চুরি করে পালায় দালালরা। পরে ওই দালালরাই বনগাঁ থানায় খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয় তরুণীকে। আদালতের নির্দেশে তার স্থান হয় লিলুয়া হোমে।

নারী ও শিশু পাচাররোধ ও তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ করে যশোরভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘রাইটস যশোর’। ওই সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ‘হাওড়ার লিলুয়া হোমে বাংলাদেশি অনেক নারী ও তরুণী দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছে। আমরা দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানিয়েছি। আটকে থাকা নারীদের নাম-ঠিকানা পরীক্ষা করা হচ্ছে। খুব দ্রুত বিষয়টি তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।’