পরীমনিকে বাসা ছাড়ার নোটিশ
ঢাকা:
প্রায় এক মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। কারাগার থেকে সকালে বাসায় যেতেই চমকে যান তিনি। তাকে বনানীর বাসাটি ছাড়তে হবে। বাসাটি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছেন ফ্ল্যাট মালিক।
বুধবার বিকালে একটি সংবাদমাধ্যমকে পরীমনি বলেন, কারাগার থেকে ঘরে ঢোকার পর বাসা ছাড়ার নোটিশ দেখতে পেলাম। এখন কি তাহলে আমার বসবাসের অধিকারটা পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে ওরা? ওরা যা চেয়েছিল, তা-ই কি হচ্ছে? আমি কি তাহলে ঢাকা ছেড়ে চলে যাব, নাকি দেশ ছেড়ে চলে যাব?
আলোচিত এ নায়িকা বলেন, আমি তো একা থাকি না। আমার বয়স্ক নানুভাই আছেন। হঠাৎ করে এসব কী! হঠাৎ করে কই যাব, সেটা কি কেউ বলতে পারেন?
ঢাকাই ছবির এ চিত্রনায়িকা বলেন, এখন এই মুহূর্তে আমাকে কে বাসা খুঁজে দেবে? তিনি জানান, চার দিন আগে তাকে এই বাসা ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ বাসায় ফিরে জানতে পারেন তিনি।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ কারাগার থেকে পরীমনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ পরীমনির জামিনের আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট বিকালে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে চার দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে একদিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।