ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলা থেকে আটক ১৩ ভারতীয় জেলেকে জেল হাজতে প্রেরণ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৬২ বার পড়া হয়েছে।

বাগেরহাটঃ

মোংলায় কোষ্টগার্ডের হাতে আটক ভারতীয় জেলেদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে আটক ট্রলার ও জেলেদের নামে ১৯৮৩ সালের সমুদ্রে সীমা লঙ্গন ও সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় পৃথক মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। সাগরের গভীরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে কোষ্টগার্ডের নিয়মিত টহলরত জাহাজে থাকা সদস্যরা ওই জেলেদের ধাওয়া করে ট্রলারসহ আটক করে শুক্রবার রাতে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করে।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহম্মাদ মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কোষ্টগার্ডের টহলরত জাহাজ বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার আনুমানিক ৭৩ কিলোমিটার উত্তরে দেশীয় জলসীমা এলাকায় বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করতে দেখে। এসময় বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড মোংলা দ্বিগরাজে পশ্চিম জোন’র সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে আটক করতে গেলে ট্রলার ও জাল নিয়ে দ্রুত তাদের ভারতের সীমানায় চলে যায়। এসময় অভিযান চালিয়ে পিতা-মাতার আর্শিবাদ নামের ফিশিং ট্রালারে থাকা জেলে, মহোন দাশ (৩৫), রুবেল দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৮), অভি দাশ (২৬), হরি দাশ (২৭), রনো দাশ (২২), শুনিল দাশ (৫০), জয়নাল দাশ(১৯), মহাদেব (২৩), শুধির (৫০), বিষ্ণ দাশ (৬০), সর্মাট দাশ (২০) ও গৌরাঙ্গ দাশ (৫০) সহ ১৩ ভারতীয় জেলেসহ ট্রলারটি আটক করতে সক্ষম হয়।

আটক এ সকল জেলেদের বাড়ী পশ্চিমবঙ্গ ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কুলতলী থানার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।

ভারতীয় ওই ট্রালারে থাকা প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল আগুলে পুড়ে ধ্বংস করা হয় এবং অবৈধভাবে আহরণ করা মাছ নিলামে বিক্রি করে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর।

Tag :

মোংলা থেকে আটক ১৩ ভারতীয় জেলেকে জেল হাজতে প্রেরণ

Update Time : ০৮:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

বাগেরহাটঃ

মোংলায় কোষ্টগার্ডের হাতে আটক ভারতীয় জেলেদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে আটক ট্রলার ও জেলেদের নামে ১৯৮৩ সালের সমুদ্রে সীমা লঙ্গন ও সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় পৃথক মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। সাগরের গভীরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে কোষ্টগার্ডের নিয়মিত টহলরত জাহাজে থাকা সদস্যরা ওই জেলেদের ধাওয়া করে ট্রলারসহ আটক করে শুক্রবার রাতে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করে।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহম্মাদ মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কোষ্টগার্ডের টহলরত জাহাজ বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার আনুমানিক ৭৩ কিলোমিটার উত্তরে দেশীয় জলসীমা এলাকায় বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করতে দেখে। এসময় বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড মোংলা দ্বিগরাজে পশ্চিম জোন’র সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে আটক করতে গেলে ট্রলার ও জাল নিয়ে দ্রুত তাদের ভারতের সীমানায় চলে যায়। এসময় অভিযান চালিয়ে পিতা-মাতার আর্শিবাদ নামের ফিশিং ট্রালারে থাকা জেলে, মহোন দাশ (৩৫), রুবেল দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৮), অভি দাশ (২৬), হরি দাশ (২৭), রনো দাশ (২২), শুনিল দাশ (৫০), জয়নাল দাশ(১৯), মহাদেব (২৩), শুধির (৫০), বিষ্ণ দাশ (৬০), সর্মাট দাশ (২০) ও গৌরাঙ্গ দাশ (৫০) সহ ১৩ ভারতীয় জেলেসহ ট্রলারটি আটক করতে সক্ষম হয়।

আটক এ সকল জেলেদের বাড়ী পশ্চিমবঙ্গ ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কুলতলী থানার বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।

ভারতীয় ওই ট্রালারে থাকা প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল আগুলে পুড়ে ধ্বংস করা হয় এবং অবৈধভাবে আহরণ করা মাছ নিলামে বিক্রি করে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর।