নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর এসডি ডিগ্রী কলেজে মাউশির নির্দেশনা উপেক্ষা করে চলছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠদান। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। আর এ অবস্থায় চরম ঝুঁকিতে আছেন শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, করোনা মহামারীতে ৫৪৪ দিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিভাবে পাঠদান চলবে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাও দিয়েছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ২টি ধরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রুটিন প্রনয়ন করবে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, মাউশির নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু এসডি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ অমল কুমার ঘোষ এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য প্রতিদিন ৬টি করে ক্লাস নির্ধারণ করে রুটিন তৈরি করেছেন এবং শিক্ষকদের উক্ত ক্লাস নিতে বাধ্য করছেন। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২.১৫ পর্যন্ত কলেজে পাঠদান করাচ্ছেন এবং কলেজে থাকতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বাধ্য করছেন। কলেজটির শ্রেণিকক্ষের পাঠদানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
কলেজটির একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজটির পাঠদান কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি একটি সভা হয়। সেখানে মাউশির নির্দেশনা উপক্ষো করে রুটিন করার বিরোধিতা করলে অধ্যক্ষ বলেন, তিনি যেভাবে বলছেন সেভাবেই ক্লাস হবে। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছেনা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করানো হচ্ছে না। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন বলেও জানান তারা।
ফারুক হোসেন নামের এক শিক্ষক জানান, প্রতিদিন ৬টি করে ক্লাস নিতে হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২.১৫ পর্যন্ত পাঠদান চলছে।
কলেজটির অধ্যক্ষ অমল কুমার ঘোষ জানান, ৬টি করে ক্লাসের রুটিন করা হয়নি। যে রুটিন করা হয়েছে সেটির নিচে কারও স্বাক্ষর নাই।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রতন মিয়া বলেন, অবশ্যই মাউশির নির্দেশনা মোতাবেক পাঠদান করাতে হবে। আমরা কেউ সরকারের সিদ্ধান্তের উর্ধ্বে নয়। অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।