শিল্পী জীবনে অবসর বলে কোনো শব্দ নেই-রিয়াজ
সবুজদেশ ডেস্ক:
১৯৯৫ সালে রূপালী পর্দায় দর্শকরা ‘বাংলার নায়ক’ সিনেমায় একজন সুদর্শন অভিনেতাকে দেখতে পান। ঐ সিনেমায় জনপ্রিয় নায়ক জসিম-এর মতো জাঁদরেল অভিনেতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে আলাদাভাবে দর্শকদের নজর কাড়েন রিয়াজ।
ভাগ্যবিধাতা রিয়াজের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন। ১৯৯৭ সালে একক নায়ক হিসেবে সুযোগ পেলেন ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ সিনেমায়। সুপার ডুপার হিট হলো সিনেমাটি। সিডিউল পাওয়ার জন্য প্রযোজক পরিচালকদের লম্বা লাইন পড়ে গেল রিয়াজের দরজায়। রিয়াজও খুব সাবধানে তার সিডিউলের খাতা খুললেন। হৃদয়ে আয়না, পৃথিবী তোমার আমার, বিয়ের ফুল, নারীর মন, প্রেমের তাজমহল, মনের মাঝে তুমির মতো অনেক সুপার ডুপার হিট সিনেমা যোগ হলো তার ক্যারিয়ারে।
বাংলা সিনেমার ‘চকলেট’ বয় রিয়াজ এখন কেমন আছেন? রিয়াজ বলেন, আল্লাহ ভালোই রেখেছেন। একটা সময় অভিনয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বর্তমানে ব্যস্ততা নেই বললেই চলে। আগের মতো বছরে এতগুলো সিনেমাও নির্মাণ হয় না। আপনারা সবাই জানেন আমার একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থা রয়েছে। সেটার দেখভাল করেই কাটছে। এক সময়ের ব্যস্ত রোমান্টিক নায়কের আজ অফুরন্ত সময় হাতে।
কেমন অনুভূতি? এ নায়ক বলেন, খুব যে একটা অবসর সময় কাটাই তাও বলা যাবে না। কারণ আমার নিজস্ব অফিসে অনেক সময় দিতে হয়। নতুন নতুন ক্লায়েন্টদের সঙ্গে প্রজেক্ট নিয়ে মিটিং করতে হয়। এখন তো খুবই চ্যালেঞ্জিং। এ ব্যবসায় প্রচুর কম্পিটিটর। আপনি যদি নতুন কিছু আইডিয়া, নির্মাণশৈলীতে বৈচিত্র্য, মুন্সিয়ানা না দেখাতে পারেন তাহলে কাজ পাওয়া কঠিন। আর শিল্পী জীবনে অবসর বলে কোনো শব্দ নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তারা প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেন। আমিও ব্যতীক্রম নই।
শেষ কবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন? রিয়াজের উত্তর- গত রোজার ঈদে এস. এ হক অলীদের টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছিলাম। একটা সময় শাবনূর ও পূর্ণিমাকে নিয়ে আপনার প্রেমের সম্পর্কের তো জোর গুঞ্জন ছিল? হাসতে হাসতে রিয়াজ বলেন, একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করতে গেলে ভালোলাগা হতেই পারে। তবে তাদের সঙ্গে ভালোবাসা ছিল না। বন্ধুত্ব ছিল।
পুরনো সহশিল্পীদের সঙ্গে কী যোগাযোগ হয় কিনা জানতে চাইলে রিয়াজ বলেন, যতটুকু সামাজিকতা রক্ষা করতে হয় ততটুকুই রাখা হয়। সবাই যার যার কর্মক্ষেত্র নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।
উল্লেখযোগ্য শিল্পোত্তীর্ণ সিনেমায় আপনি অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছেন? কাজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? এ নায়ক বলেন, এ অনুভূতি হাজার শব্দেও বোঝানো যাবে না। সত্যি স্যারের সঙ্গে কাজ করা আমার জন্য সম্মানের। সবচেয়ে সম্মানের যে বিষয়টা আমাকে আজও আন্দোলিত করে সেটা হচ্ছে স্যারের ছবি ‘দুই দুয়ারী’ দিয়েই আমার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন।