ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরাকে যুদ্ধাপরাধের জন্য বুশকে গ্রেফতারের দাবি

Reporter Name

জর্জ ডব্লিউ বুশ - ছবি : সংগৃহীত

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ইরাকে যুদ্ধাপরাধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে গ্রেফতারের জন্য দাবি জানিয়েছেন এক মার্কিন যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লং বিচ শহরে সাবেক প্রেসিডেন্টের এক ব্ক্তব্য অনুষ্ঠানে বুশের বক্তব্যে বাধা দিয়ে তাকে বিচারের আওতায় নেয়ার জন্য দাবি জানান ওই অ্যাক্টিভিস্ট।

জেব স্পার্গ নামের লস অ্যাঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ও যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, বুশ ইরাকে যুদ্ধাপরাধ করেছেন এবং তার পরিবারের জীবনকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছেন।

অনুষ্ঠানে বুশকে লক্ষ্য করে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আপনার যুদ্ধ আমার কাজিনের জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আপনার যুদ্ধ আমার পরিবারের জন্য দুঃস্বপ্ন সৃষ্টি করেছে।’

জেব স্পার্গ বলেন, ‘হাজার হাজার মার্কিনি ও লাখ লাখ ইরাকি এই যুদ্ধে নিহত হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বুশ ইরাকের ফালুজায় সাদা ফসফরাসের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।

তিনি বুশের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলেন, ‘আপনার জেলে থাকা উচিত।

বুশকে ইশারা করে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই লোককে গ্রেফতার করুন। এই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার করুন।’

বুশকে লক্ষ্য করে আক্রমনাত্মক মন্তব্যের ফলে অনুষ্ঠানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা জেব স্পার্গকে আটক করে নিয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে পরে বুশ বলেন, এটিই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক অবস্থা। অন্য দেশে প্রেসিডেন্টের প্রতি গালিগালাজ করলে জেলে যেতে হয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে যে কেউ নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।

জেব স্পার্গ পরে জানান, তাকে কিছু সময়ের জন্য আটক রাখা হয়েছিলো। ওই সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জেবকে তার সাংবিধানিক অধিকার অনুশীলনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বুশের কোথাও বাধাহীনভাবে বক্তব্যের সুযোগ দেয়ার অধিকার নেই।

২০০৩ সালে ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার কথা বলে দেশটিতে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ধ্বংস ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে আগ্রাসন শুরু করেন বুশ। কিন্তু পরে দেশটিতে কোনো প্রকার গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
১৪৮ Time View

ইরাকে যুদ্ধাপরাধের জন্য বুশকে গ্রেফতারের দাবি

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ইরাকে যুদ্ধাপরাধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে গ্রেফতারের জন্য দাবি জানিয়েছেন এক মার্কিন যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লং বিচ শহরে সাবেক প্রেসিডেন্টের এক ব্ক্তব্য অনুষ্ঠানে বুশের বক্তব্যে বাধা দিয়ে তাকে বিচারের আওতায় নেয়ার জন্য দাবি জানান ওই অ্যাক্টিভিস্ট।

জেব স্পার্গ নামের লস অ্যাঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ও যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, বুশ ইরাকে যুদ্ধাপরাধ করেছেন এবং তার পরিবারের জীবনকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করেছেন।

অনুষ্ঠানে বুশকে লক্ষ্য করে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আপনার যুদ্ধ আমার কাজিনের জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আপনার যুদ্ধ আমার পরিবারের জন্য দুঃস্বপ্ন সৃষ্টি করেছে।’

জেব স্পার্গ বলেন, ‘হাজার হাজার মার্কিনি ও লাখ লাখ ইরাকি এই যুদ্ধে নিহত হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বুশ ইরাকের ফালুজায় সাদা ফসফরাসের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।

তিনি বুশের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলেন, ‘আপনার জেলে থাকা উচিত।

বুশকে ইশারা করে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই লোককে গ্রেফতার করুন। এই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতার করুন।’

বুশকে লক্ষ্য করে আক্রমনাত্মক মন্তব্যের ফলে অনুষ্ঠানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা জেব স্পার্গকে আটক করে নিয়ে যায়।

অনুষ্ঠানে পরে বুশ বলেন, এটিই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক অবস্থা। অন্য দেশে প্রেসিডেন্টের প্রতি গালিগালাজ করলে জেলে যেতে হয়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে যে কেউ নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।

জেব স্পার্গ পরে জানান, তাকে কিছু সময়ের জন্য আটক রাখা হয়েছিলো। ওই সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জেবকে তার সাংবিধানিক অধিকার অনুশীলনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বুশের কোথাও বাধাহীনভাবে বক্তব্যের সুযোগ দেয়ার অধিকার নেই।

২০০৩ সালে ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার কথা বলে দেশটিতে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ধ্বংস ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে আগ্রাসন শুরু করেন বুশ। কিন্তু পরে দেশটিতে কোনো প্রকার গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ