ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৭৩ বার পড়া হয়েছে।

আফগানিস্তানের রাস্তায় টহলরত কয়েকজন তালেবান সদস্য। রয়টার্স

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার প্রভাব নিয়ে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সম্প্রতি একটি (ইআইইউ) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে তুরস্ক, রাশিয়া ছাড়া সবথেকে  সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে চীন।

‘মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকার ভূরাজনীতির ঝুঁকির ওপর প্রভাব’ শীর্ষক ১২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে  শুরুতে বলা হয়, আফগানিস্তানে তালেবান যে গতিতে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে, তাতে অনেকে চমকে গেছে। মার্কিনদের মিত্র দেশ সৌদি আরব, ইসরাইল, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত নিরাপত্তার জন্য অধিকমাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু আফগানিস্তানে তাদের তালগোল পাকানো পরিস্থিতি দেখে এসব মিত্ররা আর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে না। এতে সম্পর্কে যেমন নতুন মেরুকরণ  হতে পারে, তেমনি নতুন করে অস্থিতিশীলতাও সৃষ্টি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চলে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট খালি জায়গা পূরণের জন্য অন্য বড় শক্তিগুলোর সামনে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সমরাস্ত্রের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে রাশিয়া এর সুফল পেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক সুফলের ভাগটা চীনের দিকেই যাবে। বিশেষ করে করোনা-পরবর্তী পুনর্গঠন, অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন এগিয়ে থাকবে। পাশাপাশি অর্থায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে চীনের ভূমিকা হবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আঞ্চলিক স্তরে সংলাপ অব্যাহত থাকায় সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনে উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। কিন্তু উল্লিখিত ভিন্ন তিনটি ধারা আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বাড়াবে। কেননা, সংলাপে শেষ পর্যন্ত ফল না এলে উত্তেজনা আবার আগের জায়গায় ফিরে যাবে।

Tag :

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়

Update Time : ০৭:২৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার প্রভাব নিয়ে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সম্প্রতি একটি (ইআইইউ) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে তুরস্ক, রাশিয়া ছাড়া সবথেকে  সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে চীন।

‘মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকার ভূরাজনীতির ঝুঁকির ওপর প্রভাব’ শীর্ষক ১২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে  শুরুতে বলা হয়, আফগানিস্তানে তালেবান যে গতিতে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে, তাতে অনেকে চমকে গেছে। মার্কিনদের মিত্র দেশ সৌদি আরব, ইসরাইল, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত নিরাপত্তার জন্য অধিকমাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু আফগানিস্তানে তাদের তালগোল পাকানো পরিস্থিতি দেখে এসব মিত্ররা আর যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করবে না। এতে সম্পর্কে যেমন নতুন মেরুকরণ  হতে পারে, তেমনি নতুন করে অস্থিতিশীলতাও সৃষ্টি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চলে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট খালি জায়গা পূরণের জন্য অন্য বড় শক্তিগুলোর সামনে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সমরাস্ত্রের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে রাশিয়া এর সুফল পেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে ব্যাপক সুফলের ভাগটা চীনের দিকেই যাবে। বিশেষ করে করোনা-পরবর্তী পুনর্গঠন, অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীন এগিয়ে থাকবে। পাশাপাশি অর্থায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে চীনের ভূমিকা হবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আঞ্চলিক স্তরে সংলাপ অব্যাহত থাকায় সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনে উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। কিন্তু উল্লিখিত ভিন্ন তিনটি ধারা আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বাড়াবে। কেননা, সংলাপে শেষ পর্যন্ত ফল না এলে উত্তেজনা আবার আগের জায়গায় ফিরে যাবে।