ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানি পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান আর নেই

Reporter Name

ড. আবদুল কাদির খান - ছবি : সংগৃহীত

সবুজদেশ ডেস্কঃ

পাকিস্তানের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান ইন্তেকাল করেছেন। রোববার রাজধানী ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি।

ড. আবদুল কাদির খান পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্পের জনক হিসেবে বিবেচিত। তার উদ্যোগেই পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের মধ্যে প্রথম পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার রাতে ড. খানের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে ইসলামাবাদের কেআরএল হাসাপাতালে নেয়া হয়। সেখানে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টা ৪ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ড. আবদুল কাদির খানের ফুসফুস অচল হয়ে পড়লে তার মৃত্যু হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসলামাবাদের শাহ ফয়সল মসজিদে জানাজার পর তার ইচ্ছা অনুসারেই মসজিদ প্রাঙ্গনে ড. খানকে দাফন করা হবে।

এদিকে ড. খানের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ডা. আরিফ আলভি তার টুইট বার্তায় বলেন, ‘আবদুল কাদির খানের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ব্যক্তিগতভাবে ১৯৮২ সাল থেকেই তাকে চিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘জাতিকে রক্ষাকারী পরমাণু সক্ষমতা অর্জনে তিনি আমাদের সহায়তা করেছেন এবং এইক্ষেত্রে কৃতজ্ঞ জাতি কখনোই তার অবদান ভুলবে না। আল্লাহ তার ওপর রহম করুন।’

অপরদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইট বার্তায় বলেন, ‘ড. এ কিউ খানের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমাদেরকে পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্রে পরিণত করতে তার অনস্বীকার্য ভূমিকার কারণে তিনি আমাদের জাতির ভালোবাসার পাত্র। এর মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রধারী বৃহত্তর প্রতিবেশীর আগ্রাসন থেকে আমরা নিরাপত্তা লাভ করেছি। পাকিস্তানের জনগণের কাছে তিনি এক জাতীয় প্রতীক।

ড. আবদুল কাদির খান ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল বর্তমান ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভুপালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি তার পরিবারের সাথে পাকিস্তানে চলে আসেন।

১৯৯৮ সালের ১১-১৩ মে ভারতের পরমাণু বোমা পরীক্ষার জবাবে ২৮ ও ৩০ মে পাকিস্তানের পরমাণু বোমা পরীক্ষায় রাতারাতি পাকিস্তানের জাতীয় নায়কে পরিণত হন ড. আবদুল কাদির খান। একইসাথে মুসলিম বিশ্বেও তিনি বিপুলভাবে সমাদৃত হন।

সূত্র : জিও নিউজ ও ডন

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
২৩৫ Time View

পাকিস্তানি পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান আর নেই

আপডেট সময় : ০৮:০৫:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

সবুজদেশ ডেস্কঃ

পাকিস্তানের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান ইন্তেকাল করেছেন। রোববার রাজধানী ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি।

ড. আবদুল কাদির খান পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্পের জনক হিসেবে বিবেচিত। তার উদ্যোগেই পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের মধ্যে প্রথম পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার রাতে ড. খানের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে ইসলামাবাদের কেআরএল হাসাপাতালে নেয়া হয়। সেখানে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টা ৪ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, তাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ড. আবদুল কাদির খানের ফুসফুস অচল হয়ে পড়লে তার মৃত্যু হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসলামাবাদের শাহ ফয়সল মসজিদে জানাজার পর তার ইচ্ছা অনুসারেই মসজিদ প্রাঙ্গনে ড. খানকে দাফন করা হবে।

এদিকে ড. খানের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভি ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ডা. আরিফ আলভি তার টুইট বার্তায় বলেন, ‘আবদুল কাদির খানের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ব্যক্তিগতভাবে ১৯৮২ সাল থেকেই তাকে চিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘জাতিকে রক্ষাকারী পরমাণু সক্ষমতা অর্জনে তিনি আমাদের সহায়তা করেছেন এবং এইক্ষেত্রে কৃতজ্ঞ জাতি কখনোই তার অবদান ভুলবে না। আল্লাহ তার ওপর রহম করুন।’

অপরদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইট বার্তায় বলেন, ‘ড. এ কিউ খানের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমাদেরকে পরমাণু অস্ত্রধারী রাষ্ট্রে পরিণত করতে তার অনস্বীকার্য ভূমিকার কারণে তিনি আমাদের জাতির ভালোবাসার পাত্র। এর মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্রধারী বৃহত্তর প্রতিবেশীর আগ্রাসন থেকে আমরা নিরাপত্তা লাভ করেছি। পাকিস্তানের জনগণের কাছে তিনি এক জাতীয় প্রতীক।

ড. আবদুল কাদির খান ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিল বর্তমান ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভুপালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতার পর তিনি তার পরিবারের সাথে পাকিস্তানে চলে আসেন।

১৯৯৮ সালের ১১-১৩ মে ভারতের পরমাণু বোমা পরীক্ষার জবাবে ২৮ ও ৩০ মে পাকিস্তানের পরমাণু বোমা পরীক্ষায় রাতারাতি পাকিস্তানের জাতীয় নায়কে পরিণত হন ড. আবদুল কাদির খান। একইসাথে মুসলিম বিশ্বেও তিনি বিপুলভাবে সমাদৃত হন।

সূত্র : জিও নিউজ ও ডন