ঢাকা ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন দখলের দাবি রুশ বাহিনীর

Reporter Name

ইউক্রেনের খেরসন শহর দখলের দাবি রুশ বাহিনীর - ছবি : সংগৃহীত

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন দখল করেছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। কোনাশেনকভ বলেন, সোমবার খেরসন শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনারা।

বিবিসি এ খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, তবে কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে বিবিসিকে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে, গত ২ মার্চ খেরসনের মূল কেন্দ্র দখল করেছিল রুশ বাহিনী। তবে সেখানকার জনগণের নিরাপত্তা, আইনের শাসন ও নাগরিকরা যেন তাদের ন্যূনতম প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পান সেজন্য নগর প্রশাসনের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলছিলেন রুশ বাহিনীর কর্মকর্তারা।

ঠিক কী কারণে এই বোঝাপড়া শেষ হয়ে গেল, সে বিষয়ে অবশ্য রিয়া নভোস্তির প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। তবে খেরসনে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর পথসমূহ রুশে সেনারা বন্ধ করেনি বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম।

মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরেই মূলত দ্বন্দ্ব শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ২০০৮ সালে কিয়েভ ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।

এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর বাড়ে দ্বন্দ্বের তীব্রতা। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:২৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২
১৩৬ Time View

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন দখলের দাবি রুশ বাহিনীর

আপডেট সময় : ০৮:২৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন দখল করেছে রুশ বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। কোনাশেনকভ বলেন, সোমবার খেরসন শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনারা।

বিবিসি এ খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, তবে কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে বিবিসিকে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এক প্রতিবেদনে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে, গত ২ মার্চ খেরসনের মূল কেন্দ্র দখল করেছিল রুশ বাহিনী। তবে সেখানকার জনগণের নিরাপত্তা, আইনের শাসন ও নাগরিকরা যেন তাদের ন্যূনতম প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পান সেজন্য নগর প্রশাসনের সঙ্গে বোঝাপড়া করে চলছিলেন রুশ বাহিনীর কর্মকর্তারা।

ঠিক কী কারণে এই বোঝাপড়া শেষ হয়ে গেল, সে বিষয়ে অবশ্য রিয়া নভোস্তির প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি। তবে খেরসনে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর পথসমূহ রুশে সেনারা বন্ধ করেনি বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম।

মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরেই মূলত দ্বন্দ্ব শুরু হয় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ২০০৮ সালে কিয়েভ ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।

এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর বাড়ে দ্বন্দ্বের তীব্রতা। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।