তুরস্কে বৈঠকে বসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন
সবুজদেশ ডেস্কঃ
ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে।
মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে দোলমাবাহচে প্রাসাদে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এই আলোচনা শুরু হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুই দেশের প্রতিনিধি দল ইস্তাম্বুলে পৌঁছায়।
তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই আলোচনার শুরুতে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায়পূর্ণ শান্তিতে কেউ হেরে যায় না এবং যুদ্ধের বিস্তারে কারোরই স্বার্থ রক্ষা হয় না।’
ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের মধ্যে এই আলোচনার শুরুতে দুই দলের প্রধান, ডেভিড আরখামিয়া ও ভ্লাদিমির মেদিনস্কি নিজেদের মধ্যে এক বৈঠক করেন।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে কয়েক দফায় দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যে একবার তুরস্কের আনতালিয়াতেও মুখোমুখি হয় দুই পক্ষের প্রতিনিধি দল। কিন্তু যুদ্ধ বন্ধে চূড়ান্ত কোনো লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সৈন্য পাঠায় রাশিয়া।
পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার লক্ষ্যে রুশ স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে পুতিন ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। ইউক্রেনকে ‘বেসামরিকীকরণ’ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করার জন্যই তিনি এই অভিযান চালিয়েছেন বলে দাবি করছেন।
জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুসারে, ইউক্রেনে যুদ্ধে অন্তত এক হাজার এক শ’ ৫১ বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলে জানানো হয়।
জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার তথ্য অনুসারে, যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ৩৮ লাখ ৭০ হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি