ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের  কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২০২৩ সালের নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ডিসেম্বরের শেষে কিংবা জানুয়ারির শুরুতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  বুধবার নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে অসুস্থতার কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল উপস্থিত হতে না পারলেও অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মপরিকল্পনায় সুষ্ঠু নির্বাচন চ্যালেঞ্জ, মোকাবিলায় ইসির করণীয়, দলগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখা, নির্বাচনের প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি টিভি স্থাপন ও সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনের ইভিএমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেট্রোপলিটন ও জেলা সদরের আসনগুলোয় ইভিএম ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন আহসান হাবিব বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক বিভেদের মধ্যে আস্থা অর্জন ও প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও ছয় মাসের মধ্যে কিছুটা আস্থা অর্জনের দিকে এগিয়েছে। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্য একটাই- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা।

আহসান হাবিব বলেন, আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এবং আমরা অনেক আস্থাশীলতার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কিছুটা হলেও আগে থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি। এ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেদের জবাবদিহিতা ও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতাও বাড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রাশেদা সুলতানা বলেন, পরিকল্পনা ধরেই এগিয়ে যাবো আমরা। সবার সহযোগিতা পেলে অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো।

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, অংশীজন সবার সহযোগিতা দরকার। বাস্তবভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক এ রোডম্যাপ বাস্তবায়ন হলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছোনো যাবে।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে নির্বাচন কশিমনার মো. আলমগীর বলেন, এ কর্মপরিকল্পনায় সবার মতামত রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। যেসব বিষয় আমাদের আওতায় রয়েছে তা রাখা হয়েছে। তবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সুপারিশগুলো রাখা হয় নি। 

তিনি জানান, রোডম্যাপের চ্যালেঞ্জগুলো ধরে মোকাবেলা করে সব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

ভোটের এখনও এক বছর চার মাস বাকি। অনেকে ইসি নিয়ে আস্থাহীনতায় থাকলেও আগামীতে কর্মকাণ্ড দেখে আস্থাশীল হবে।

ইসির রোডম্যাপের সারসংক্ষেপ
> আইন সংস্কার: ২০২২ অগাস্ট থেকে ২০২৩ ফেব্রুয়ারি
> সংলাপ: ২০২২ মার্চ- ২০২২ ডিসেম্বর
> সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস: ২০২৩ জানুয়ারি -২০২৩ জুন।
> আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: আগস্ট ২০২২ থেকে ২০২৩ অগাস্ট।
> নতুন দল নিবন্ধন: ২০২২ সেপ্টেম্বর- ২০২৩ জুন
> ভোটার তালিকা: ২০২২ হালনাগাদ শুরু মে, ২০২৩ মার্চে চূড়ান্ত প্রকাশ; তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সংসদীয় আসন অনুযায়ী ৩০০ এলাকার তালিকা প্রস্তুত।
> ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ: ২০২৩ জুন-আগস্ট ২০২৩; তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ।
> প্রশিক্ষণ: ২০২৩ জানুয়ারি থেকে তফসিল ঘোষণার পরেও চলবে।
> পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন: জানুয়ারি ২০২৩ থেকে অগাস্ট ২০২৩।

আগামী বছর নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নির্বাচন ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিবের সভাপতিত্বে ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
১১৮ Time View

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন

আপডেট সময় : ০৭:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

সবুজদেশ ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের  কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২০২৩ সালের নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ডিসেম্বরের শেষে কিংবা জানুয়ারির শুরুতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  বুধবার নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এটি প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে অসুস্থতার কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল উপস্থিত হতে না পারলেও অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মপরিকল্পনায় সুষ্ঠু নির্বাচন চ্যালেঞ্জ, মোকাবিলায় ইসির করণীয়, দলগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখা, নির্বাচনের প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসি টিভি স্থাপন ও সর্বোচ্চ দেড়শ’ আসনের ইভিএমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেট্রোপলিটন ও জেলা সদরের আসনগুলোয় ইভিএম ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশন আহসান হাবিব বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক বিভেদের মধ্যে আস্থা অর্জন ও প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও ছয় মাসের মধ্যে কিছুটা আস্থা অর্জনের দিকে এগিয়েছে। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্য একটাই- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা।

আহসান হাবিব বলেন, আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন এবং আমরা অনেক আস্থাশীলতার ঘাটতির মধ্যে আছি। আমাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে প্রমাণ দিয়েছি, আমরা কিছুটা হলেও আগে থেকে আস্থা অর্জনে এগিয়ে গেছি। এ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে নিজেদের জবাবদিহিতা ও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতাও বাড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে রাশেদা সুলতানা বলেন, পরিকল্পনা ধরেই এগিয়ে যাবো আমরা। সবার সহযোগিতা পেলে অংশগ্রহণমূলক ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবো।

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জানান, অংশীজন সবার সহযোগিতা দরকার। বাস্তবভিত্তিক ও সময়ভিত্তিক এ রোডম্যাপ বাস্তবায়ন হলে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছোনো যাবে।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে নির্বাচন কশিমনার মো. আলমগীর বলেন, এ কর্মপরিকল্পনায় সবার মতামত রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। যেসব বিষয় আমাদের আওতায় রয়েছে তা রাখা হয়েছে। তবে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সুপারিশগুলো রাখা হয় নি। 

তিনি জানান, রোডম্যাপের চ্যালেঞ্জগুলো ধরে মোকাবেলা করে সব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

ভোটের এখনও এক বছর চার মাস বাকি। অনেকে ইসি নিয়ে আস্থাহীনতায় থাকলেও আগামীতে কর্মকাণ্ড দেখে আস্থাশীল হবে।

ইসির রোডম্যাপের সারসংক্ষেপ
> আইন সংস্কার: ২০২২ অগাস্ট থেকে ২০২৩ ফেব্রুয়ারি
> সংলাপ: ২০২২ মার্চ- ২০২২ ডিসেম্বর
> সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস: ২০২৩ জানুয়ারি -২০২৩ জুন।
> আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: আগস্ট ২০২২ থেকে ২০২৩ অগাস্ট।
> নতুন দল নিবন্ধন: ২০২২ সেপ্টেম্বর- ২০২৩ জুন
> ভোটার তালিকা: ২০২২ হালনাগাদ শুরু মে, ২০২৩ মার্চে চূড়ান্ত প্রকাশ; তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সংসদীয় আসন অনুযায়ী ৩০০ এলাকার তালিকা প্রস্তুত।
> ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ: ২০২৩ জুন-আগস্ট ২০২৩; তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট প্রকাশ।
> প্রশিক্ষণ: ২০২৩ জানুয়ারি থেকে তফসিল ঘোষণার পরেও চলবে।
> পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন: জানুয়ারি ২০২৩ থেকে অগাস্ট ২০২৩।

আগামী বছর নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

নির্বাচন ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিবের সভাপতিত্বে ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।