ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা

Reporter Name

যশোরঃ

যশোরে পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) যশোর সদরের এনায়েতপুর গ্রামের বশির আহমেদের মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন এ মামলা করেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

হাবিবুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট তিন লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে হাবিবুর তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হাবিবুর বাদীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।

গত ১১ জুলাই স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দিলে বাবার বাড়ি চলে আসেন সুমাইয়া। ৭ অক্টোবর হাবিবুর শ্বশুর বাড়িতে আসলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। এ সময় হাবিবুর যৌতুকের তিন লাখ টাকা ছাড়া সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে টাকা না দিলে সুমাইয়াকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। তাই বাধ্য হয়ে বাদী মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে হাবিবুরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৯:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
৯৩ Time View

যশোরে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা

Update Time : ০৯:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

যশোরঃ

যশোরে পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুকের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) যশোর সদরের এনায়েতপুর গ্রামের বশির আহমেদের মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন এ মামলা করেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

হাবিবুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট তিন লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে হাবিবুর তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হাবিবুর বাদীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।

গত ১১ জুলাই স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দিলে বাবার বাড়ি চলে আসেন সুমাইয়া। ৭ অক্টোবর হাবিবুর শ্বশুর বাড়িতে আসলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। এ সময় হাবিবুর যৌতুকের তিন লাখ টাকা ছাড়া সংসার করবেন না বলে জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে টাকা না দিলে সুমাইয়াকে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। তাই বাধ্য হয়ে বাদী মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে হাবিবুরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।