‘নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি’
সবুজদেশ ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “সমুদ্রের তলদেশ থেকে শুরু করে সমুদ্র এবং সবই যেন সুরক্ষিত থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে আমাদের নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি।”
রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নেভাল এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে দেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর নেভাল এভিয়েশনে মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। কিন্তু বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষার জন্য আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। যাতে আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আমরা সব সময় ধরে রাখতে পারি। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তৈরি করছি, উপযুক্ত করছি।”
সরকার প্রধান আরও বলেন, “নৌবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট এবং সাবমেরিনসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। দুর্ভাগ্য হলো, এই করোনাভাইরাসের অভিঘাত পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমাদের উন্নয়নের গতিটা অনেকটা শ্লথ হয়ে গেছে। শুধু আমরা না, সারা বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলো এখন হিমশিম খাচ্ছে। সেই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। তবে, আমরা আমাদের সম্পদ দিয়ে, নিজেদের মাটি-মানুষ দিয়েই এই দেশকে সুরক্ষিত রাখব। যার যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে, আমাদের খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে।”
নৌবাহিনীর বহরে নতুন করে দুটি মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট (এমপিএ) সংযোজন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ দুটি এমপিএ সংযোজনের ফলে নেভাল এভিয়েশনের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এই যে সমুদ্রসীমা, এর সুরক্ষা দেয়ার জন্য অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমাদের যে জলসীমা, বিশেষ করে যে সমুদ্র সম্পদ, আমাদের অর্থনীতিতে যাতে ব্যবহার করতে পারি এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।”