চাকরি ছেড়ে এসে ড্রাগনসহ বিভিন্ন ফল চাষে সফল ঝিনাইদহের ডন (ভিডিও)
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পড়াশোনা শেষ করার পর অনেক কিছুই করেছেন। চাকরি, ঠিকাদারিসহ নানা পেশার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখা হয়নি তার। সবক্ষেত্রেই পিছয়ে পড়েছি। শেষ পর্যন্ত গত ১৫ বছর ধরে তিনি এ পেশায় আছেন। কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখেছেন গত ৫ বছর হলো। এখন তিনি স্বাবলম্বী। বর্তমানে দিন হাজিরায় তার এ বিশাল প্রজেক্টে কাজ করেন ১০ জন শ্রমিক। আহসানুল ইসলাম ডন ঝিনাইদহ ব্যাপারী পাড়ার আজিজুর রহমান সালামের ছেলে
“আল্ট্রা হাইডেনসিটি” পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ করে রিতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন পুরো জেলায়। অভিনব এ পদ্ধতিতে চাষে তার সাফল্য দেখে জেলা জুড়ে পড়েছে ব্যাপক সাড়া। ইউরোপিয়ান ফল ড্রাগন, এ পদ্ধতিতে চাষ করে ঝিনাইদহে প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন এ উদ্যাক্তা । জেলার বাইরে থেকেও ফল চাষীরা আসছেন চাষ পদ্ধতি শিখতে । ৫০ বিঘা জমিতে ড্রাগনসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করলেও এবারই তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের মাগুরা পাড়ায় প্রায় অর্ধ বিঘা জমিতে এই পদ্ধতিতে চাষ করেছেন।
সনাতন পদ্ধতিতে গত ৫ বছর চাষ করলেও এবারই প্রথম “আল্ট্রা হাইডেনসিটি” পদ্ধতিতে ড্রাগনের চাষ করেছেন। পেয়েছেন অবিশ্বাস্য সাফল্য । অল্প জায়গায় অধিক ফলন পেতে এ চাষ পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই । ড্রাগন চাষিরা যেখানে এক বিঘায় ৮০০ টি চারা রোপণ করেন, সেখানে এই বাগানে ২৬০০ চারা লাগানো হয়েছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি। ফলে ফলনও এসেছে তিনগুণ বেশি। বাগানটিতে লম্বা সারি করে খুঁটি স্থাপন করে তার উপর দিয়ে লম্বা করে রড ও সিমেন্টের তৈরী আড়া স্থাপন করা হয়েছে। নিচে ৬ ফুট প্রশস্ত বেডের মাঝখানে স্থাপিত খুঁটির দুই পাশ দিয়ে সারি করে ড্রাগন গাছ রোপণ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছ শিকড় বিস্তারের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখা হয়েছে। এক বিঘায় প্রথমে ৩ লাখ খরচ হলেও লাভ হয় প্রায় ১০ লাখ টাকা।
স্থানীয়রা জানায়, আল্ট্রা হাইডেনসিটি চাষ দেখতে আসছেন অনেকেই। বেকার যুবকরা এই পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ করলে বেকারত্ব দূর করতে পারবে। অল্প জমিতে অধিক ফলনের জন্য এই পদ্ধতিতে চাষ অনেক কার্যকরী।
অভিনব এক পদ্ধতিতে ড্রাগন চাষ হচ্ছে শুনে দেখতে চলে এসেছেন সিলেট থেকে । নিজ এলাকায় এ পদ্ধতিতে ড্রাগন ছড়িয়ে দিতে হাতে কলমে শিখতে সিলেট থেকে এসেছেন বলে জানান হাবিবুর রহমান।
কালীগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার কুণ্ডু জানান, দেশের জন্য দারুন এক পদ্ধতি এটি । এটির সাফল্য যদি ছড়িয়ে যায় দেশ খুব উপকৃত হবে ।