ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জটিল রোগে আক্রান্ত আজিজুল বাঁচতে চাই, সাহয্যের আবেদন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
  • ১৮৩ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

খুব ছোট বেলায় বাবা মাকে হারায় আজিজুল হক। এরপর এতিম আজিজুলের ঠাই হয় হতদরিদ্র খালার কাছে। খালা তাকে খুব কষ্টে পরের বাড়িতে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে লালন -পালন করে। সেই খালাও একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। শুরু হয় আজিজুলের সংগ্রামী জীবন। বেচেঁ থাকার জন্য নেমে পড়েন কাজের সন্ধানে।

একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন আজিজুল হক। এই চাকরি করেই কোন রকম চলছিল আড়াই বছরে এক ছেলে ও স্ত্রীসহ তিন জনের সংসার। কিন্তু গত ২দু‘ মাস আগে আজিজুলের নাকের মধ্যে একটি টিউমার ধরা পড়ে। নিজের স্বাধ্য মতো ধার দেনা করে চিকিৎসা করিয়েছেন। এখন সেই টিউমার বড় আকার ধারণ করেছে। ছড়িয়ে পড়েছে মাথার মধ্যে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। আর এই অপারেশন করতে লাগবে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু আজিজুলের সেই স্বাধ্য নেই এতো টাকা জোগাড় করার। তাই সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তিনি সাহায্যের আবেদন করেছেন। আজিজুল হক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরবা গ্রামের মৃত সুলতান হোসেনের ছেলে।

আজিজুল হকের স্ত্রী নাসরিন আক্তার জানান, আমরা খুব গরিব মানুষ। ছোট একটা চাকরি করে আমাদের সংসার কোন রকম চলে। আমাদের আড়াই বছরের ছোট একটা ছেলে রয়েছে। আমার স্বামী ছোট বেলায় মা বাবা হারিয়েছেন। আপনজন বলতে খালা আর মামা ছাড়া তেমন কেউ নেই। তারাও খুব দরিদ্র। সংসারে একমাত্র উপর্জনক্ষম মানুষ সে । আজিজুল এখন খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ৭ লক্ষ টাকা লাগবে তার চিকিৎসা করাতে । এই টাকা এখন আমরা কিভাবে জোগাড় করবো। সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তিনি তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য সাহায্যের অনুরোধ করেছেন।

কিছুদিন আগে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করা আজিজুল এখন আর কথা বলতে পারছেন না। চোখে মুখে যেন তার হতাশার ছাপ। ছোট সন্তানের জন্য আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার স্বপ্ন বুনছেন। কান্নাকাটি আবার নিরবতার সাথে অবাক দৃষ্টিতে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকছেন।

সাহয্য পাঠাতে- ০১৩১২-৩২৩৩৬৩ (আজিজুলের স্ত্রী- নাসরিন আক্তার- বিকাশ ও নগদ)।

Tag :
জনপ্রিয়

জটিল রোগে আক্রান্ত আজিজুল বাঁচতে চাই, সাহয্যের আবেদন

Update Time : ০৭:২২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

খুব ছোট বেলায় বাবা মাকে হারায় আজিজুল হক। এরপর এতিম আজিজুলের ঠাই হয় হতদরিদ্র খালার কাছে। খালা তাকে খুব কষ্টে পরের বাড়িতে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে লালন -পালন করে। সেই খালাও একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। শুরু হয় আজিজুলের সংগ্রামী জীবন। বেচেঁ থাকার জন্য নেমে পড়েন কাজের সন্ধানে।

একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন আজিজুল হক। এই চাকরি করেই কোন রকম চলছিল আড়াই বছরে এক ছেলে ও স্ত্রীসহ তিন জনের সংসার। কিন্তু গত ২দু‘ মাস আগে আজিজুলের নাকের মধ্যে একটি টিউমার ধরা পড়ে। নিজের স্বাধ্য মতো ধার দেনা করে চিকিৎসা করিয়েছেন। এখন সেই টিউমার বড় আকার ধারণ করেছে। ছড়িয়ে পড়েছে মাথার মধ্যে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। আর এই অপারেশন করতে লাগবে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু আজিজুলের সেই স্বাধ্য নেই এতো টাকা জোগাড় করার। তাই সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তিনি সাহায্যের আবেদন করেছেন। আজিজুল হক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরবা গ্রামের মৃত সুলতান হোসেনের ছেলে।

আজিজুল হকের স্ত্রী নাসরিন আক্তার জানান, আমরা খুব গরিব মানুষ। ছোট একটা চাকরি করে আমাদের সংসার কোন রকম চলে। আমাদের আড়াই বছরের ছোট একটা ছেলে রয়েছে। আমার স্বামী ছোট বেলায় মা বাবা হারিয়েছেন। আপনজন বলতে খালা আর মামা ছাড়া তেমন কেউ নেই। তারাও খুব দরিদ্র। সংসারে একমাত্র উপর্জনক্ষম মানুষ সে । আজিজুল এখন খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ৭ লক্ষ টাকা লাগবে তার চিকিৎসা করাতে । এই টাকা এখন আমরা কিভাবে জোগাড় করবো। সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তিনি তার স্বামীর চিকিৎসার জন্য সাহায্যের অনুরোধ করেছেন।

কিছুদিন আগে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করা আজিজুল এখন আর কথা বলতে পারছেন না। চোখে মুখে যেন তার হতাশার ছাপ। ছোট সন্তানের জন্য আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার স্বপ্ন বুনছেন। কান্নাকাটি আবার নিরবতার সাথে অবাক দৃষ্টিতে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকছেন।

সাহয্য পাঠাতে- ০১৩১২-৩২৩৩৬৩ (আজিজুলের স্ত্রী- নাসরিন আক্তার- বিকাশ ও নগদ)।