ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালালে ব্যবস্থা: পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

অগ্নিসন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সতর্ক থাকুন- যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে না পারে। কেউ আবার অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করার সাহস না পায় এবং কেউ আর যাতে কখনো কারো জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।’

বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। ঠিক আছে জনগণকে নিয়ে করবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে।’

‘কারণ আজকে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সেটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে। যার ফলে মাত্র ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি। … আমরা নিজেরাই শুধু মুখে বলি না। আজ সারা বিশ্বে কিন্তু বাংলাদেশ প্রশংসিত।’

তিনি পুলিশের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানারকম চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা, মানবসৃষ্ট দুর্যোগ যেমন- অগ্নিসন্ত্রাস বা নানা নৈরাজ্য যেখানে পুলিশ সদস্যদের নির্দয়ভাবে মারা হয়েছে, আমরা দেখেছি। কাজেই ভবিষ্যতে যাতে আমাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে না পারে। কেউ যেন আর ওই অগ্নিসন্ত্রাস করার সাহস না পায়। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা যেন কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই আইনশৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে। এজন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা সরকার বৃদ্ধি করে দিয়েছে। কারণ একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। থানা ও তদন্ত কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও সরকার করে দিয়েছে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার টানা ক্ষমতায় থাকার সুফল তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।  

করোনা মহামারিসহ বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এটা কিন্তু অত্যন্ত দুঃসহ কাজ; এটা আমরা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছি। আর এই করতে পারার পেছনে আপনাদেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে, পুলিশ বাহিনীর অবদান রয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সে লক্ষ্য পূরণের জন্য সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।  

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল হাসান। কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার কথাও শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
৯৫ Time View

বিএনপি ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালালে ব্যবস্থা: পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

অগ্নিসন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সতর্ক থাকুন- যাতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেউ বাধা দিতে না পারে। কেউ আবার অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাস করার সাহস না পায় এবং কেউ আর যাতে কখনো কারো জীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে।’

বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ আন্দোলন-সংগ্রাম করবে। ঠিক আছে জনগণকে নিয়ে করবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা সবাইকে নিতে হবে।’

‘কারণ আজকে বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সেটা কিন্তু এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের শ্রম দিতে হয়েছে, কষ্ট করতে হয়েছে, পরিকল্পনা করতে হয়েছে। যার ফলে মাত্র ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন আনতে পেরেছি। … আমরা নিজেরাই শুধু মুখে বলি না। আজ সারা বিশ্বে কিন্তু বাংলাদেশ প্রশংসিত।’

তিনি পুলিশের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানারকম চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে বলেন, আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা, মানবসৃষ্ট দুর্যোগ যেমন- অগ্নিসন্ত্রাস বা নানা নৈরাজ্য যেখানে পুলিশ সদস্যদের নির্দয়ভাবে মারা হয়েছে, আমরা দেখেছি। কাজেই ভবিষ্যতে যাতে আমাদের এই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা কেউ ব্যহত করতে না পারে। কেউ যেন আর ওই অগ্নিসন্ত্রাস করার সাহস না পায়। মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা যেন কেউ বিঘ্নিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দেশের আইনশৃঙ্খলা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই আইনশৃঙ্খলাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীকেই পালন করতে হবে। এজন্য পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সেক্টর ওয়াইজ বাহিনী করে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা সরকার বৃদ্ধি করে দিয়েছে। কারণ একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পুলিশ বাহিনীকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। থানা ও তদন্ত কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নও সরকার করে দিয়েছে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার টানা ক্ষমতায় থাকার সুফল তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।  

করোনা মহামারিসহ বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা এটা কিন্তু অত্যন্ত দুঃসহ কাজ; এটা আমরা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছি। আর এই করতে পারার পেছনে আপনাদেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে, পুলিশ বাহিনীর অবদান রয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ, বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ হবে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সে লক্ষ্য পূরণের জন্য সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।  

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল হাসান। কয়েকজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার কথাও শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।