বিএনপির আন্দোলনের দৈর্ঘ্য কম প্রস্থ বেড়ে যাচ্ছে : কাদের
সবুজদেশ ডেস্কঃ
বিএনপির আন্দোলনের দৈর্ঘ্য কম প্রস্থ বেড়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “বিএনপির আন্দোলন জোয়ার থেকে ভাটার দিকে যাচ্ছে। ভুয়া জোটের মাধ্যমে গঠন করা বিএনপি ভুয়া। তাদের জনগণ বিশ্বাস করে না।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা শহীদ শেখ রাসেল পার্কের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৬টি উপনির্বাচনে আজকের ভোট অবাধ-সুষ্ঠু হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। বিএনপির রাজনীতি ঘোমটা পরা রাজনীতি, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভয় পায়নি, উল্টো বিএনপি নিজেরাই ভয় পেয়েছে। বিএনপি ষড়যন্ত্রমূলক সমাবেশ প্রতিরোধ নয়, সর্তক থাকবে আওয়ামী লীগ। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে যাবে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি এখন পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা। মাত্র সূচনা করেছি আমরা, খেলা এখনো শুরু করিনি আমরা। বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সবই ভুয়া। মির্জা ফখরুল লাল কার্ড দেখাতে গিয়ে শুন্য হাতে ফিরল। সরকার পতন, ৫৪ দল, ২৭ ও ১০ দফা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সবই ভুয়া। বিএনপির হাঁকডাক, লোটাকম্বল, মশার কয়েল, সাত দিন আগ থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি সবই ব্যর্থ।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, “বিএনপি জনগণকে বারবার ধোকা দিয়েছে তাদের আর জনগণ বিশ্বাস করে না। নির্বাচনকে বানচালের ব্যর্থ চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। আগামী নির্বাচনে জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে একাত্তরের ঘাতকদের বিতাড়িত করবে। আমাদের একটাই লক্ষ সরকার ও বিরোধী দল দুটি থাকবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “বিএনপির লক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করে ক্ষমতা দখল করা। তারা কখনোই জনগণের ভোটের সমর্থন আর পাবে না। তাই আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের খেলা ১০ ডিসেম্বর পরই শেষ হয়ে গেছে, এখন নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।”
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, “বিএনপি আন্দোলনে ব্যার্থ হয়ে নীরব পদযাত্রা শুরু করেছে, কিন্তু মানুষ তাদের সঙ্গে নেই, তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে।”