নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুষ্টিয়া শহরের মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত ফয়সাল আহম্মেদ সজল ওরফে কাইল্যা সজল গতকাল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগন্নাথপুর বাজারে মাদকদ্রব্য (ইয়াবা) বিক্রি করার সময় এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। এক পর্যায়ে কাইলা সজল তার সহযোগীদের সাহায্য নিয়ে পালিয়ে যায়। সজলের বিরুদ্ধে রমরমা ইয়াবা এবং ফেন্সিডিল ব্যবসার অভিযোগ অনেক দিন ধরেই উঠে আসছে।
কাইল্লা সজল কুষ্টিয়া কুঠিপাড়া এলাকার কুটুনির ছেলে ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া শশীভৃষণ সড়কে কাইল্লা সজলের অটোরিকশা গ্যারেজ রয়েছে। এই গ্যারেজের আড়ালে দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা এবং ফেন্সিডিলের রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে সে। তার এই মাদক বিক্রির কাজে সহযোগিতা করার জন্য একাধিক সহকারী রয়েছে। আরো জানা যায়, অটোরিকশা গারেজে আসা একাধিক চালকের মাধ্যমে কাইল্লা সজল ইয়াবা এবং ফেন্সিডিল সেবনকারীদের হাতে পৌছে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে এই মাদক কারবারি। অটো গ্যারেজ কে পুঁজি করে মাদকের এই রমরমা ব্যবসায় অল্প দিনেই লক্ষপতি কাইল্লা সজল। তার এই কাজের সাথে বেশ কিছু উঠতি বয়সী তরুনরাও জড়িত আছে বলে জানা যায়।
জগন্নাথপুর এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান , শহরের কাইল্লা সজলের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময় পত্র প্রত্রিকায় নিউজে দেখেছি। গতকাল সজল ও তার এক বন্ধু জগন্নাথ পুর বাজারে এসে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করার সময় হাতেনাতে ধরা খায়। এসময় এলাকাবাসী কাইল্লা সজলকে গণধোলাই দেয় এক পর্যায়ে কাইলা সজল তার সহযোগীদের মাধ্যমে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সজল ওরফে কাইল্লা সজল এর মাধ্যমে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ভয়ংকর নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তারা অতি দ্রুত কাইল্লা সজল কে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। এই বিষয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।