ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাল আত্মসাৎ: ঝিনাইদহে বহিষ্কৃত খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাল আত্মসাতের অভিযোগে মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া এলএসডি খাদ্য গুদামের বহিষ্কৃত পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান মামলাটি করেন। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর জামতলা সড়কের মৃত মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম উল্লেখিত খাদ্য গুদামে দায়িত্ব পালনের বিভিন্ন সময় চারটি গুদাম ১৮৯.৯৮ টন চাল আত্মসাৎ করেন। যার সরকারি মূল্য ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ ঘটনা জানাজানি হলে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কুষ্টিয়া জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মাগুরার একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী রসায়নবিদ ইকরামুল কবীর ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার তাজ উদ্দীন আহমেদ। তদন্ত কমিটি চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহিদ কালাম বলেন, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শফিকুল ইসলাম মাগুরার শালিখা উপজেলা আড়পাড়া এলএসডি খাদ্য গুদামে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রায় ৯০ লাখ টাকা মূল্যের চাল আত্মসাৎ করেন। গঠিত তদন্ত কমিটির চাল আত্মসাতের প্রমাণ পায়। এরপর নিয়মিত মামলা হয়েছে।

Tag :

চাল আত্মসাৎ: ঝিনাইদহে বহিষ্কৃত খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা

Update Time : ০৭:২২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাল আত্মসাতের অভিযোগে মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া এলএসডি খাদ্য গুদামের বহিষ্কৃত পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রহমান মামলাটি করেন। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর জামতলা সড়কের মৃত মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শফিকুল ইসলাম উল্লেখিত খাদ্য গুদামে দায়িত্ব পালনের বিভিন্ন সময় চারটি গুদাম ১৮৯.৯৮ টন চাল আত্মসাৎ করেন। যার সরকারি মূল্য ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ ঘটনা জানাজানি হলে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কুষ্টিয়া জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মাগুরার একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সহকারী রসায়নবিদ ইকরামুল কবীর ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার তাজ উদ্দীন আহমেদ। তদন্ত কমিটি চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. জাহিদ কালাম বলেন, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শফিকুল ইসলাম মাগুরার শালিখা উপজেলা আড়পাড়া এলএসডি খাদ্য গুদামে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রায় ৯০ লাখ টাকা মূল্যের চাল আত্মসাৎ করেন। গঠিত তদন্ত কমিটির চাল আত্মসাতের প্রমাণ পায়। এরপর নিয়মিত মামলা হয়েছে।