ঢাকা ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঐক্যের ডাক দিলেন এরদোগান

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ঐতিহাসিক দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সোমবার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।

গত ১৪ মে দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ দশমিক শূন্য শতাংশ ভোট। কোনো পক্ষই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।

দেশটিতে গত একশ বছরের ইতিহাসে রোববার প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে এরদোগানের (৬৯) ২০ বছরের ক্ষমতার মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলো। তিনি তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হলেন।

তুরস্কের কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের চ্যালেঞ্জ এবং তীব্র শক্তিশালী বিরোধী জোটকে মোকাবেলা করেই এরদোগান তার বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশে এরদোগান বলেন, আমাদের ঐক্য ও সংহতি নিয়ে একত্রিত হওয়া উচিত। আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এ আহ্বান জানাচ্ছি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে এরদোগান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।

এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক হওয়া সত্ত্বেও সেক্যুলার বিরোধী জোট বিকল্প কোনো এজেন্ডা সামনে আনতে পারেনি। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রচারের কারনে তুরস্কের কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের দরিদ্র ও অধিকতর গ্রামীণ জনগণ এরদোগানের ওপরই তাদের আস্থা রেখেছেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:১৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
১২৪ Time View

ঐক্যের ডাক দিলেন এরদোগান

আপডেট সময় : ০৭:১৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ঐতিহাসিক দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সোমবার জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।

গত ১৪ মে দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ দশমিক শূন্য শতাংশ ভোট। কোনো পক্ষই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।

দেশটিতে গত একশ বছরের ইতিহাসে রোববার প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে এরদোগানের (৬৯) ২০ বছরের ক্ষমতার মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলো। তিনি তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হলেন।

তুরস্কের কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের চ্যালেঞ্জ এবং তীব্র শক্তিশালী বিরোধী জোটকে মোকাবেলা করেই এরদোগান তার বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশে এরদোগান বলেন, আমাদের ঐক্য ও সংহতি নিয়ে একত্রিত হওয়া উচিত। আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এ আহ্বান জানাচ্ছি।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে এরদোগান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।

এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক হওয়া সত্ত্বেও সেক্যুলার বিরোধী জোট বিকল্প কোনো এজেন্ডা সামনে আনতে পারেনি। এছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রচারের কারনে তুরস্কের কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের দরিদ্র ও অধিকতর গ্রামীণ জনগণ এরদোগানের ওপরই তাদের আস্থা রেখেছেন।