ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে শোবার ঘরে মিলল বিষধর গোখরা সাপের ২০ বাচ্চা

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের শৈলকুপার চায়ের দোকানদার মুকুল হোসেনের শোবার ঘর থেকে মিললো গোখরা সাপের ২০টি জ্যান্ত বাচ্চা । আজ সকালে শৈলকুপা পৌরসভার মালিপাড়া থেকে মাটি খুড়ে একে একে সাপের বাচ্চাগুলো বের করে আনা হয় ।

এলাকাবাসী চঞ্চল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে মুকুল হোসেনর বাড়িতে যায় । যেয়ে দেখি, মুকুলের টিন দিয়ে বানানো ও মেঝে মাটি দিয়ে তৈরী ঘর খনন চলছে । আর একে একে বের হচ্চে জ্যান্ত সব সাপের বাচ্চা ।

চা দোকানী মুকুল হোসেন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে মাঝে-সাঝে বাড়রি মেয়েরা সাপের বাচ্চা দেখতে পায় । একানে সেকানে কিল-বিল করে বেড়ায় । আবার খুব দ্রুতই কোথায় যেন হারিয়ে যায় । পর পর কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটলে আমাদের সন্দেহ হয় । এরপর আজ সকালে থেকেই ঘরের দুই পাশের টিন খুলে মাটির মেঝে খুড়তে শুরু করি । একপর্যায়ে সাপের বাচ্চা বের হতে থাকে । তারপর শেষ পর্যন্ত ২০ জ্যান্ত বাচ্চা পাওয়া যায় । তাবে বড় কোন সাপ পাওয়া যায়নি । এগুলোকে একটি প্লাষ্টিকের বয়মে ভরে রাখা হয়েছে । পরে এলাকার ওঝা চিত্ত দাশকে খবর দেয়া হয়। তিনি এসে জানান, এগুলো গোখরো সাপের বাচ্চা । যা খুবই বিষধর সাপ।

ওঝা চিত্ত দাশ জানান, এগুলো গোখরো সাপের বাচ্চা । যা খুবই বিষধর সাপ নামে এলাকায় পরিচিত । এগুলোর বয়স কমপক্ষে ১০ দিনতো হবেই । এগুলো আমরা এখন নিয়ে যাবো । সাপ যেভাবে পারা হয় ঠিক সেভাবেই এগুলোকেও পালা হবে । তবে যেহেতু এদের মাকে পাওয়া যায়নি এবং বাচ্চা গুলোও খুব ছোট সেকারণে বেশিরভাগই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা । কয়েকটা বাচ্চা বেশ বড় এরা বাঁচতে পারে । তবে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এগুলো যেকানে সেখানে ছাড়া যাবেনা । আর আমাদের এখানে এদের ছেড়ে দেওয়ার মতো কোন জায়গাও নেই ।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৩:০২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩
১০৬ Time View

ঝিনাইদহে শোবার ঘরে মিলল বিষধর গোখরা সাপের ২০ বাচ্চা

Update Time : ০৩:০২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের শৈলকুপার চায়ের দোকানদার মুকুল হোসেনের শোবার ঘর থেকে মিললো গোখরা সাপের ২০টি জ্যান্ত বাচ্চা । আজ সকালে শৈলকুপা পৌরসভার মালিপাড়া থেকে মাটি খুড়ে একে একে সাপের বাচ্চাগুলো বের করে আনা হয় ।

এলাকাবাসী চঞ্চল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে মুকুল হোসেনর বাড়িতে যায় । যেয়ে দেখি, মুকুলের টিন দিয়ে বানানো ও মেঝে মাটি দিয়ে তৈরী ঘর খনন চলছে । আর একে একে বের হচ্চে জ্যান্ত সব সাপের বাচ্চা ।

চা দোকানী মুকুল হোসেন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে মাঝে-সাঝে বাড়রি মেয়েরা সাপের বাচ্চা দেখতে পায় । একানে সেকানে কিল-বিল করে বেড়ায় । আবার খুব দ্রুতই কোথায় যেন হারিয়ে যায় । পর পর কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটলে আমাদের সন্দেহ হয় । এরপর আজ সকালে থেকেই ঘরের দুই পাশের টিন খুলে মাটির মেঝে খুড়তে শুরু করি । একপর্যায়ে সাপের বাচ্চা বের হতে থাকে । তারপর শেষ পর্যন্ত ২০ জ্যান্ত বাচ্চা পাওয়া যায় । তাবে বড় কোন সাপ পাওয়া যায়নি । এগুলোকে একটি প্লাষ্টিকের বয়মে ভরে রাখা হয়েছে । পরে এলাকার ওঝা চিত্ত দাশকে খবর দেয়া হয়। তিনি এসে জানান, এগুলো গোখরো সাপের বাচ্চা । যা খুবই বিষধর সাপ।

ওঝা চিত্ত দাশ জানান, এগুলো গোখরো সাপের বাচ্চা । যা খুবই বিষধর সাপ নামে এলাকায় পরিচিত । এগুলোর বয়স কমপক্ষে ১০ দিনতো হবেই । এগুলো আমরা এখন নিয়ে যাবো । সাপ যেভাবে পারা হয় ঠিক সেভাবেই এগুলোকেও পালা হবে । তবে যেহেতু এদের মাকে পাওয়া যায়নি এবং বাচ্চা গুলোও খুব ছোট সেকারণে বেশিরভাগই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা । কয়েকটা বাচ্চা বেশ বড় এরা বাঁচতে পারে । তবে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে এগুলো যেকানে সেখানে ছাড়া যাবেনা । আর আমাদের এখানে এদের ছেড়ে দেওয়ার মতো কোন জায়গাও নেই ।