অনিয়ম করে জন্ম নিবন্ধন দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় অনিয়মের মাধ্যমে রিয়া খাতুনের জন্ম নিবন্ধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কোলা ইউনিয়নের তেঘরিহুদা,দামদরপুর গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে তিতাস এর সহধর্মিনী। রিয়া খাতুনের জন্ম নিবন্ধন ও সার্টিফিকেটের মধ্যে বয়সের পার্থক্য রয়েছে। কোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা না হওয়া সত্বেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ জন্ম সনদ তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
২০২২ সালের ১১ নভেম্বর কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল আজাদ ও ইউপি সচিব হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ২০০৪৪৪১৩৩৪৭০৩৯০২০ জন্ম নিবন্ধন নাম্বারধারী সার্টিফিকেটের রিয়া খাতুনের। জন্ম সাল ২ মে ২০০৪ তারিখ উল্লেখ করা হলেও রিয়া খাতুনের এসএসসির স্কুল সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ ২ মে ২০০৬। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মাগুরা সদর উপজেলার পিকুল হাসান বিশ্বাস ও মোছাম্মদ রানী বেগমের মেয়ে রিয়া খাতুনের বিয়ে হয় কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে। জন্ম নিবন্ধন নীতি ২০০৬ উপেক্ষা করে অসৎ উপায় অবলম্বন করে কোলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রিয়া খাতুন এর নামে একটি জন্ম নিবন্ধন প্রদান করা যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এ ব্যাপারে রিয়া খাতুনের স্বামী তিতাস হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্ত্রীর একটি জন্ম নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে সিংড়া কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষে অধ্যায়নরত। তবে কিভাবে সার্টিফিকেট এবং জন্ম নিবন্ধনের বয়সের মধ্যে অমিল হলো তা বলতে পারবো না। বয়সের ব্যাপারটা আমাদের মেম্বার আবুল শেখ ভালো বলতে পারবেন।
কোলা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হাফিজুর রহমান জানান, এস এস সি সার্টিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধন এ দুই রকম বয়স কিভাবে হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ দিয়ে তদন্ত করে তবেই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
৩ নং কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আল আজাদ জানান, পড়াশুনার তথ্য গোপন করার কারণে এমন হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে টিকার কার্ড দেখেও জন্ম নিবন্ধনের বয়স লেখা হয়। এটার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে দেখবো, কিভাবে কি হলো।